পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ ঘটনায় সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখতে মামলার এজহারনামীয় আসামিদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ধর্ষণ মামলার ৬ আসামিই ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। এদিকে ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বিচার বিভাগীয় তদন্ত টিম। গতকাল দুপুরে তদন্ত কমিটির ৪ সদস্য এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে পৌঁছেন। এসময় প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপালের সাথে বৈঠক করেন এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কমিটির সদস্যরা। এছাড়া, ধর্ষণ ঘটনায় নড়ে চড়ে উঠছে সিলেট নগরীর টিলাগড়বাসী। দলমত নির্বিশেষে আগামীকাল সকাল ১১ টায় এক মানববন্ধন পালন শেষে ধারাবাহিক কর্মসূচির ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন তারা।
৬ আসামির ডিএনএ সংগ্রহ : গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় পুলিশের পাহারায় সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয় ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় আসামি ৬ ছাত্রলীগ নেতাকে। ডিএনএ নমুনা প্রদানকারী আসামিরা হচ্ছেন মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুম। মহানগর পুলিশের উপ পুলিশের (গণমাধ্যম) জ্যোর্তিময় সরকার বলেন, পুলিশ ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে নেয়া হয় ৬ আসামিকে। সেখানে নমুনা সংগ্রহ করার পর আবার ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসা হয় পুলিশী হেফাজতে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে বিচার বিভাগীয় তদন্ত টিম : এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বিচার বিভাগীয় তদন্ত টিংংম। গতকাল দুপুরে তদন্ত কমিটির ৪ সদস্য এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে যান। এসময় ছাত্রাবাসের নবনির্মিত ভবনসহ বিভিন্ন হল পরিদর্শন করেন তারা। তারপর ধর্ষণ ঘটনার বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন কমিটির সদস্যরা। এর আগে প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল সাথে বৈঠক করেন তারা। এরপর ছাত্রাবাসে যান তদন্ত কমিটির সদস্যরা। তদন্ত কমিটির প্রধান হিসেবে রয়েছেন সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ মো বজললুর রহমান, অন্যান্য সদস্যরা হলেন- মহানগর মুখ্য হাকিম মো: আবুল কাশেম, অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মমিুনুন নেছা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শারমিন নেছা। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছে উচ্চ আদালত এই কমিটিকে।
ইমেজ ফেরাতে মাঠে নামছে টিলাগড়বাসী : গণধর্ষণ ঘটনার পর নিজেদের ইমেজ ফেরাতে মাঠে নামছে সিলেট নগরীর টিলাগড়বাসী। এনিয়ে গত বুধবার রাতে এলাকার গণ্যমান্য মুরব্বিরা স্থানীয় হাতিম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে এক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে বহিরাগতদের সংগঠিত অপরাধ কর্মকান্ডে টিলাগড়ের ইমেজ কলঙ্কিত হ্ওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিরোধ ও প্রতিবাদ কর্মসূচির প্রস্তুতিও নিয়েছেন তারা। স্থানীয় অধিবাসীরা মনে করেন, দেশের ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজ, সিলেট সরকারি কলেজ, সিলেট কৃষি বিশ^বিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ^বিদ্যালয়, ইর্কো পার্ক, দুগ্ধ খামারসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থাপনা এ এলাকায়। সেকারনে বিভিন্ন্ এলাকার শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার জন্য এসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়। তাদের কেন্দ্র করে মেসসহ বিভিন্ন বাসাবাড়িতে ভাড়া নেয় শিক্ষার্থীরা। কিন্তু রাজনীতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে লোকালয়ের পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। ধর্ষণ, ছিনতাই, মাদকসহ অপরাধ কর্মকান্ড লাগামহীনভাবে বেড়ে চলছে। ঘটছে আহত নিহতের মতো ঘটনাও। এসব ঘটনায় মামলা হল্ওে কোনটিরই বিচার হয় না। সেকারনে ক্রমশ অপরাধীরা নিরাপদ ক্রাইমেজোন গড়ে তোলেছে টিলাগড়কে। তাই স্থানীয় অধিবাসীরা বিব্রত ও লজ্জিত।
সূত্র জানায়, গণধর্ষণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাল (শনিবার) সকাল ১১ টায় টিলাগড়ে বৃহৎ মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। মানববন্ধনের প্রচার আজ (শুক্রবার) বাদ জুম’আ মসজিদে মসজিদে জানানো হবে। মানববন্ধন থেকে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা করবেন নেতৃবৃন্দ। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে পায়ে হেঁটে নগরীর কোর্ট পয়েন্টে মিছিল পরবর্তী সমাবেশ, ধর্ষকদের প্রতীকী বিচার ট্রায়ালে বিচার নিশ্চিতকরণ। এ ব্যাপারে টিলাগড় কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ এর মোতওয়াল্লী ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ অধ্যাপক (অব) মকসুদ আলী ধর্ষণ ঘটনার প্রতিবাদে এক প্রস্তুতি সভায় মিলিত হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, টিলাগড় ঐতিহ্যকে কলংকিত করেছে বহিরাগত রাজনীতিক সন্ত্রাসীরা। স্থানীয় অধিবাসীরা বিব্রত ও লজ্জিত। বহিরাগতদের কোন দায়বোধ নেই, কিন্তু আমাদের জবাবদিহিতা ও দায়বোধ রয়েছে। তিনি এমসি কলেজ প্রিন্সিপালের অপসারণ ও বিচার দাবি করে বলেন, অদক্ষ প্রিন্সিপালের কারণে ন্যাক্কারজনক গণধর্ষণ ঘটনা হয়েছে তারই নিয়ন্ত্রিত ছাত্রাবাসে। আমরা কলেজ প্রিন্সিপালসহ সংশ্লিষ্টদের বিচার নিশ্চিতে মাঠে নামবো। একই সাথে আমাদের এলাকার ইমেজ রক্ষায় সর্বাত্মাক পদক্ষেপ গ্রহণ করবো আমরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।