পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : ‘ঘুষ না দেয়ায়’ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে বরাদ্দ কম দেয়া হয়েছে বলে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন যে অভিযোগ তুলেছেন, তার প্রমাণ চেয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। আগামী সাত দিনের মধ্যে তার অভিযোগের প্রমাণ চাওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এক চিঠিতে মেয়রের কাছে অভিযোগের প্রমাণ চেয়েছেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তাকে ব্যাখ্যা দিতে হবে। হি মাস্ট এক্সপ্লেইন, পরিষ্কার কথা।
গত বুধবার চট্টগ্রামে এক সভায় মেয়র নাছির বলেন, ‘দাবি মত’ কর্মকর্তাদের ঘুষ দিলে যেখানে ৩০০ থেকে ৩৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া যেত, সেখানে তা না দেয়ায় এসেছে মাত্র ৮০ কোটি টাকা। আমাকে বলা হলোÑ করপোরেশনের জন্য যত টাকা চাই দেয়া হবে থোক বরাদ্দ হিসেবে, তবে তার জন্য পাঁচ শতাংশ করে দিতে হবে। সাম্প্রতিক এক ঘটনা তুলে ধরে মেয়র ওই অনুষ্ঠানে বলেন, যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা সিটি করপোরেশনের প্রকল্প পাস করার জন্য একটি নতুন পাজেরো গাড়ি চেয়েছিলেন।
নাছিরকে ওই অভিযোগের ‘প্রমাণ দিতে হবে’Ñ এমন মন্তব্য করে স্থানীয় সরকার সচিব সাংবাদিকদের বলেন, তার কথা তিনি যা বলেছেন, আমরা তার কাছে জানতে চাইব, প্রমাণ চাইব। তিনি প্রমাণ দেবেন যে, মন্ত্রণালয়ের কোন কর্মকর্তা তার কাছে জিপ চেয়েছেন। তিনি যার কথাই বলুক, সেটা উনি বলুক।
উনি যে কথাগুলো বলেছেন, উনি একজন রাজনৈতিক নেতা এবং একজন মেয়র। সুতরাং উনার বক্তব্য উনিই স্যাটেল করুক। আমরা আজকেই (বৃহস্পতিবার) উনার কাছে ব্যাখ্যা চাচ্ছি।
চিঠিতে যা বলা হয়েছেÑ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রকল্প অনুমোদন এবং বরাদ্দ পেতে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘুষ চান; মন্ত্রণালয়ের জনৈক যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা আপনার কাছে একটি নতুন পাজেরো জিপ চেয়েছেন, ৫ শতাংশ ঘুষ দিলে আপনি ৮০ কোটির পরিবর্তে ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেতেন ইত্যাদি তথ্য উল্লেখ করে গত ১০ আগস্ট চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মর্মে ১১ আগস্ট বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে। আপনার আনীত এ অভিযোগসমূহ গুরুতর। এতে মন্ত্রণালয় তথা সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ হয়েছেÑ যার প্রমাণ প্রদান আবশ্যক। এ পরিপ্রেক্ষিতে কোন কর্মকর্তা কোথায় কখন আপনার কাছে ঘুষ দাবি করেছেন, কে কোথায় কখন পাজেরো জিপ চেয়েছেন, কোন প্রকল্পের অর্থ ছাড়ে কোন কর্মকর্তা জটিলতার সৃষ্টি করেছেন, তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখপূর্বক উপযুক্ত প্রমাণ আগামী সাত দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে দাখিল করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের নগর উন্নয়ন শাখার অতিরিক্ত সচিব জ্যোতির্ময় দত্ত।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, অভিযোগ যে কেউ করতে পারেন। তবে তা প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায় না, আর ব্যবস্থা নেয়াটা ঠিকও নয়। তিনি আরো বলেন, যেহেতু তিনি অভিযোগ করেছেন, তাই সেভাবেই মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। যদি তদন্তে প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ অভিযোগটি গুরুতর।
এদিকে কোরবানির ঈদে নির্ধারিত স্থানে পশু জবাই নিয়ে সিটি করপোরেশন ও কয়েকটি পৌরসভার প্রতিনিধিদের এক বৈঠকে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আসেন নাছির।
কর্মকর্তাদের ঘুষ দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মত করে আমি বলব। আমি এসেছি কাজে, আমি মিটিংয়ে এসেছি। মিটিংয়ের পরে কিছু দাপ্তরিক কাজ ছিল, সেগুলো নিয়ে (সচিবের সঙ্গে) কথা বলেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।