পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জাতীয় পতাকা অবমাননা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ লাখো বীর শহীদ ও মা বোনের সম্ভ্রমসহ তাজা রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এ দেশের স্বাধীনতা। স্থানীয়দের দাবি, উৎসব কিংবা খেলায় একবার পতাকা উড়ালে সঠিক সময়ে নামানোর খবর নেই। আবার ছেঁড়া ও নষ্ট পতাকা উড়িয়ে অনেকেই দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি জাতীয় পতাকার সঠিক মাপ মানা হচ্ছে না বলেও রয়েছে অভিযোগ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের মধুখালী গ্রামে ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্রসেনার কার্যালয়ে টানানো রয়েছে ছেঁড়া পতাকা। পতাকাটি কখন উড়ানো হয়েছে তার খবর নেই খোদ সংগঠনের সদস্যদের। এ বিষয়ে ছাত্রসেনা সদস্য মাসুদ মোল্লার কাছে জানতে চাইলে পতাকা কে টানিয়েছে তা বলতে পারেনি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, জাতীয় পতাকা অবমাননা কোনো অবস্থাতেই মেনে নেয়া যায় না। যেখানে সেখানে নিয়ম না মেনেই পতাকা টানাতে দেখি। তাদের দিবস জ্ঞান ও পতাকা উত্তোলনের সঠিক নিয়ম জানা নেই। তবু যত্রতত্র নিয়ম না মেনে পতাকা টানিয়ে থাকে। যা দৃষ্টিকটু ও জাতীয় পতাকার অবমাননার শামিল।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় সবুজ ক্ষেত্রের উপর স্থাপিত রক্তবর্ণের একটি ভরাট বৃত্ত থাকবে। যা দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত হবে ১০:৬। যার মানে যদি দৈর্ঘ্য ৩০৫ সেমি (১০ ফুট) হয়, প্রস্থ ১৮৩ সেমি (৬ ফুট হবে)। আর লাল বৃত্তটির ব্যাসার্ধ পতাকার দৈর্ঘ্যরে পাঁচ ভাগের একভাগ হবে।
ভবনের ব্যবহার করার জন্য ১০ ফুট : ৬ ফুট, ৫ ফুট : ৩ ফুট, ২ দশমিক ৫০ ফুট : ১ দশমিক ৫০ ফুট পরিমাপের নিয়ম থাকলেও স্বাধীনতা বিষয়ক উৎসব কিংবা বিশ্বকাপ খেলার সময় সাধারণ নাগরিকরা অতি উৎসাহী হয়ে তাদের মনগড়া মাপের পতাকা উত্তোলন করে থাকে। এসব পতাকা তৈরিতে জাতীয় নিয়ম মানা হয় না। তাছাড়া সরকারি নির্ধারিত গাড়িতে পতাকা উত্তোলনের নিয়ম থাকলেও প্রায় গাড়িতেই পতাকা উড়াতে দেখা যায়।
এদিকে হাট বাজার ও দোকান ঘরে একইভাবে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে থাকেন। এসব উড়ানোর সময় উৎসাহ নিয়ে উড়ালেও নামানোর সময় তারা কেউ খেয়াল করেন না। এতে পতাকা নষ্ট হয়ে উড়তে থাকে।
কাঞ্চন ভারত চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আমেনা আক্তার লিপি বলেন, আমাদের সম্মানের এ পতাকা যত্রতত্র উড়ানো কোনো অবস্থাতেই সম্মানের নয়। তাছাড়া পতাকা পুরোনো হয়ে গেলে অথচ কর্তৃপক্ষ খেয়াল করলো না এটা চরম অন্যায়। তাই ব্যক্তি, সংগঠন ও সকল শ্রেণির লোকজনকে সজাগ দৃষ্টি রাখা জরুরি।
সরেজমিন ঘুরে আরও দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সঠিক সময়ে টানানো হয় না পতাকা। নিয়ম অনুসারে অফিস সময়ে টানানোর কথা থাকলেও প্রতিদিন দুপুরের পর টানানো হয় পতাকা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমন বণিক বলেন, বিষয়টি জানা ছিল না। এখন থেকে যথাসময়ে টানানো হবে। এছাড়াও বিশ্বকাপ ফুটবল কিংবা অন্য খেলার সময় ভীনদেশী পতাকা উড়ানো নিয়ে মহামান্য হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অজো পাড়াগায়ে তা মানছে না।
সরেজমিন ঘুরে আরও দেখা যায়, পূর্বাচলের মাজারের নামে অবৈধভাবে দখলে ব্যক্তির মাজারে লাল নিশানের পাশে দেশের জাতীয় পতাকা উড়াতে দেখা গেছে। বটগাছের উপরে লাল নিশানের পাশে সব সময়ের জন্য উড়ানো হচ্ছে জাতীয় পতাকা। এভাবে যত্রতত্র এমন পতাকা উড়ানো জাতীয় পতাকা অবমাননার শামিল।
এসব বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ নুসরাত জাহান বলেন, যে ব্যক্তি জাতীয় পতাকা অবমাননা করবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এতোদিন বিষয়টি খেয়াল করা হয়নি। এখন থেকে উপজেলা প্রশাসন এ বিষয়ে কঠোর ভূমিকা নিবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।