পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর হাজারীবাগে নিজের ছেলে ও মেয়েকে গলা কেটে হত্যা করার চেষ্টার পর বাবা নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হাজারীবাগের বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এ সময় মেয়েকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পুলিশ ধারনা করছে, পারিবারিক কলহের জেরে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
নিহত শিশুর নাম জারিন হাসান রোজা (৬)। তার ভাই রিজন (১৩)। সে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাবা মো. জাবেদ হাসান (৪৮) পেশায় ব্যবসায়ী। আহত বাবা ও ছেলের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
নিহত শিশুর চাচা মেহেদী হাসান জানান, রাজধানীর হাজিরবাগ বটতলা বাজার এলাকায় জাবেদের টিনশেড দোতলা রয়েছে। দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি নিজ বাড়ির দোতলায় থাকতেন। বাসার নিচে তার জামা-কাপড়ের একটি দোকান রয়েছে।
তিনি জানান, ঘটনার সময় রোজার মা রিমা আক্তার বাসার নিচে ছিলেন। হঠাৎ তিনি চিৎকার শুনে ঘরে ঢুকে দেখে তিনজন আহত অবস্থায় পড়ে আছে। তাদের তিন জনের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। পরে তাদের দ্রুত উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক রোজাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা জানাতে পারেননি মেহেদী।
নিহত শিশুর মা রিমা জানান, ঘটনার সময় তিনি বাসার বাইরে ছিলেন। ঘটনাটি দুই তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘটে। চিৎকার শুনে পরে ঘটনাস্থলে যান। তবে কী কারণে এ ঘটনা সেব্যাপারে তিনি কিছু বলেননি। তবে উদ্ধারকারীদের একজন জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। স্ত্রী বাসা থেকে বের হয়ে যান। পরে স্বামী এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে তার ধারণা।
হাজারীবাগ থানার ওসি সাজিদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, নিহত শিশু রোজার লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। আর আহত রিজন ও তার বাবা মো. জাবেদ হাসানের চিকিৎসা চলছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।