Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশের সব কর্মকান্ডে জনগণকে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে : পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:১৬ এএম, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, দেশের সকল কর্মকান্ডে জনগণকে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। দেশের মানুষের জন্য আমরা কাজ করি, জনগণের অর্থেই সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সুতরাং আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণকে অবহিত রাখা। যতটা সম্ভব সরকারি কর্মকান্ডে জনগণকে সম্পৃক্ত রাখা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংল নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত পাবলিক-প্রাইভেট স্টেকহোল্ডার কমিটির (পিপিএসসি) নবম বৈঠকে তিনি এ সব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দিন দিন বাংলাদেশের সরকারি ক্রয় কার্যক্রম আরও শক্তিশালী হচ্ছে। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) ক্রয় অনুমোদন কার্যক্রম ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট (ই-জিপি) প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ায় যুক্ত হচ্ছে। ফলে দ্রুতই-টেন্ডারিং কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে কীভাবে সিসিজিপিকে এর সঙ্গে যুক্ত করা যায় সে সব বিষয়ে সরকারের পরামর্শে সিপিটিইউ শিগগিরই একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে একটি দিকনির্দেশনা তৈরি করা হবে।
ই-জিপি কার্যক্রমের সুবিধাগুলো হচ্ছে, পুরো সরকারি ক্রয় কার্যক্রমের একটি কেন্দ্রীয় ও জাতীয় ইলেক্ট্রনিক প্লাটফরম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সরকারি ক্রয়ে দরপত্র প্রক্রিয়াকরণ ও আইন/বিধির প্রতিপালন পরিবীক্ষণে একটি ইলেকট্রনিক ক্রয় ব্যবস্থাপনা তথ্য পদ্ধতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইলেকট্রনিক পদ্ধতি চালুর ফলে ক্রয় কার্যক্রমে বিভিন্ন ধরনের বিদ্যমান জটিলতা পরিহার করা সম্ভব হচ্ছে। অধিকসংখ্যক দরদাতা অবাধে ক্রয় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে বিধায় অধিকতর প্রতিযোগিতা নিশ্চিত হচ্ছে। প্রচলিত পদ্ধতিতে টেন্ডার বাক্সে দরপত্র জমাদানের বিদ্যমান নিয়ম ই-জিপির ক্ষেত্রে অবলুপ্ত হয়েছে। সরকারি ক্রয়ের গুণগত মান বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্রয় কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বেসরকারি খাতে কম্পিউটার স্বাক্ষর জনগোষ্ঠীর জন্য ব্যবসার সুযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বর্তমান সরকার ২০২১ সাল নাগাদ ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের যে অঙ্গীকার করেছে এরই অংশ হিসেবে দেশের সকল সরকারি ক্রয় কার্যক্রম ২০১৬-এর মধ্যে ই-জিপির আওতায় নিয়ে আসার জন্য সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব তারিক-উল হক, বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব শহীদউল্লা খান খন্দকার, সিপিটিইউর মহাপরিচালক ফারুক হোসেন এবং বিআইজিডির মহাপরিচালক ড. সুলতান মোহাম্মদ হাফিজসহ পিপিএসসির সদস্যরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দেশের সব কর্মকান্ডে জনগণকে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে : পরিকল্পনামন্ত্রী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ