পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অসাধু মিল মালিকরা অবৈধভাবে ধান চাল মজুদ করে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। গতকাল মঙ্গলবার খাদ্য ভবনের সভাকক্ষে চালকল মালিক সমিতি ও চাল ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমার নিজ এলাকা নওগাঁয় বন্ধ মিলগুলোতে হাজার হাজার মেট্রিক টন চাল ও ধান মজুদ রয়েছে। তারা এ টাকা পেলো কোথায়? যার বন্ধ মিল তারতো টাকা নেই। তাহলে কার টাকা। কিন্তু আপনারাতো এ তথ্য দিচ্ছে না। সে তথ্য দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করেন। তিনি বলেন, দেশে কৃষকদের কাছে দুই শতাংশ ধানও নেই। আমি নয় দিন নওগাঁ, বগুড়া, জয়পুরহাট এলাকায় ঘুরেছি। বড় বড় মিলাররা কিছু পরিমাণ ধান মজুদ রেখেছেন এতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু দেখা গেছে মিল বন্ধ, লাইসেন্সও নবায়ন করেনি অথচ সেসব মিলেও ধান মজুদ রেখেছে। গত দুই দিন আমি গোপন সার্ভে করে প্রায় ৫০ টি মিলের খোঁজ পেয়েছি। এসব মিলে নিম্নে ২০০ থেকে তিন হাজার মেট্টিক টন ধান মজুদ রয়েছে। এ সার্ভে যদি আরও সাত দিন করা হয় তাহলে শত শত চালকল পাওয়া যাবে সেখানে অবৈধভাবে ধান মজুদ রাখা হয়েছে। আড়ৎদাররাও ধান ও চাল মজুদ করে রাখছেন। এটা কি পরিকল্পিতভাবে সরকারকে বেকায়দায় ফেলা হচ্ছে না? যেসব মিল মালিক এ ধরনের অবৈধ মজুদ করছেন না, তারাও অবৈধ মজুদদারদের বিরুদ্ধে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছেন না।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, অবৈধ মজুদকারিদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট শুরু হয়েছে। ধান মজুদ আছে এ ধান বের করতে হবে। মিলাররা সেসব মজুদদার থেকে ধান কেনা বন্ধ করেন তাহলে অটো সে ধান বের হয়ে আসবে। ধান কতো করে কিনছেন, আর চাল কতো করে বিক্রি করছেন সেটা আজ বলে যেতে হবে। এ রকম সহযোগিতা পেলেতো তাদের কোলে তুলে নিতাম। আমি নওগাঁর মন্ত্রী নওগাঁর মিল মালিকরা যদি হাজার হাজার মেট্রি টন ধান ও চাল মজুদ করে রাখে তাহলে আমার মনে কি হয়?
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীন, কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল মুঈদ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, খাদ্য অধিদপ্তরের সারোয়ার মাহমুদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবদুল আজিজ মোল্লা প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।