Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাঁকোর পরিবর্তে আরসিসি সেতু

দক্ষিণাঞ্চলের জনদুর্ভোগ লাঘবে এলজিইডি’র প্রকল্প

পঞ্চায়েত হাবিব | প্রকাশের সময় : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০২ এএম

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠি জেলার উন্নয়ন ও জনদুর্ভোগ লাঘবে বাঁশের সাঁকোর পবিবর্তে আরসিসি সেতু নির্মাণ করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এজন্য সংস্থাটি আয়রণ সেতু (লোহার পুল) পুনঃনির্মাণ ও পুনর্বাসন প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলার প্রায় ২ কোটি মানুষের জনদুর্ভোগ লাঘব হবে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ ইনকিলাবকে বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের পল্লী যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়য়ের জন্য প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে। বাস্তবায়িত হলে এ অঞ্চলের যোগাযোগের ক্ষেত্রে অবকাঠামো উন্নয়ন ও জনগণের জনদুর্ভোগ লাঘব হবে। তিনি বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী ছাড়াও বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীরা নিয়মিত মনিটরিং করছেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ খান ইনকিলাবকে বলেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর সাধারণ মানুষ সেতুর অভাবে এক গ্রাম থেকে অন্যগ্রামে চলাচল করতে পারতো না। তারা দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন গ্রামে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে যাতায়াত করতো। এতে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনার শিকার হতো।

এসব এলাকার মানুষ যাতে ভালভাবে চলাফেরা করতে পারে সে কারণে এসব পল্লী যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন ও জনদুর্ভোগ কমাতে বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে আরসিসি সেতু নির্মাণ এবং আয়রণ সেতু (লোহার পুল) পুনঃনির্মাণ ও পুনর্বাসন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠি জেলার সাধারণ জনগণ সেতুর অভাবে বাঁশের সাঁকোর তৈরি করে বিভিন্ন গ্রামে চলাচল করতো। এসব এলাকায় উন্নত মানের সেতু না থাকার কারণে সব সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা লেগে থাকতো।

এবার পল্লী যোগাযোগ বৃদ্ধি, অবকাঠামো উন্নয়ন ও জনদুর্ভোগ লাঘবে বাঁশের সাঁকোর পবিবর্তে আরসিসি সেতু নির্মাণ এবং আয়রণ সেতু (লোহার পুল) পুনঃনির্মাণ ও পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় জরাজীর্ণ আয়রণ সেতুর স্থলে ৮৬৫টি আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ এবং ইউনিয়ন গ্রাম সড়কে ১ হাজার ৯৬টি আয়রণ সেতু পুনর্বাসন মেরামত কাজ করাসহ ১ হাজার ৯৬১টি সেতু নির্মাণের তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গত ২০১৮ সালের জুন থেকে বাস্তবায়ানের কাজ শুরু করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।

এর পাশাপাশি পটুয়াখালী, ভোলা ও বরগুনা জেলার পল্লী যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নেও আরো একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়নানের কাজ শুরু করেছে। এ প্রকল্প থেকে ইতোমধ্যে বেশকিছু বাঁশের সাঁকোকে আরসিসি সেতু ও লোহার সেতু নির্মাণ ও মেরামত কাজ শেষ হয়েছে। সেতুগুলো খুলে দেয়ার কারণে কয়েকটি জেলায় লাখ লাখ মানুষ সুবিধা ভোগ করছেন।

তবে স¤প্রতি একটি মহল জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, বাঁশের সাঁকোকে লোহার সেতু দেখিয়ে দরপত্র আহ্বান করে সরকারের কোটি কোটি টাকা বেহাত করছে। যা মোটেই সত্য নয় বলে জানিয়েছেন প্রকল্পের পরিচালক।
প্রকল্পের পরিচালক মো. আবদুল হাই ইনকিলাবকে বলেন, সরকারি সকল বিধি মেনেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলার প্রায় ২ কোটি জনগণ সুবিধা ভোগ করবে।
একটি মহল সরকার তথা এলজিইডির সুনাম নষ্ট করতে দক্ষিণ অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় প্রকল্পটি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এলজিইডি মানুষের কল্যাণে জনস্বার্থে কাজ করে আসছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এলজিইডি’র প্রকল্প

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ