পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকার নির্ধারিত বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসগুলো কীভাবে পালন করতে হবে সে বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাগুলোকে নতুন করে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন/পালন সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছে। একই সঙ্গে ২০১২ সালের ৭ নভেম্বর জারিকৃত এ সংক্রান্ত পরিপত্র বাতিল করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরিপত্রে বলা হয়, আগের মতই সবগুলো দিবসকে তিনটি শ্রেণিতে রাখা হয়েছে। ক শ্রেণিতে থাকা ১৮টি দিবসকে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন বা পালন করা হবে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, খ শ্রেণির ৩৪টি দিবসের মধ্যে যেসব দিবস ঐতিহ্যগতভাবে পালন করা হয়ে থাকে অথবা বর্তমানে দেশের পরিবেশ সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণের জন্য বিশেষ সহায়ক, সেসব দিবস উল্লেখযোগ্য কলেবরে উদযাপন/পালন করা যেতে পারে।
খ শ্রেণির দিবসের অনুষ্ঠানে মন্ত্রীরা সম্পৃক্ত থাকবেন এবং এ ধরনের অনুষ্ঠানের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এ পর্যায়ের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য সরকারি উৎস থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা যেতে পারে। গ শ্রেণিতে থাকা ৩৩টি দিবস নিয়ে পরিপত্রে বলা হয়েছে, বিশেষ খাতের প্রতীকী দিবসগুলো সীমিত কলেবরে উদযাপন/পালন করা হবে। মন্ত্রীরা এসব দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিতির বিষয় বিবেচনা করবেন। উন্নয়ন খাত থেকে এসব দিবস পালনের জন্য কোনো বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হবে না। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানায়, তিন ধরনের দিবস ছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো আরও কিছু দিবস উদযাপন/পালন করে থাকে, যেগুলো গতানুগতিক ধরনের।
পরিপত্রে আরো বলা হয়েছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে এগুলো পুনরাবৃত্তিমূলক এবং বর্তমান সময়ে তেমন কোনো গুরুত্ব বহন করে না। সরকারের সময় এবং সম্পদ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সরকারি সংস্থাগুলো এ ধরনের দিবস উদযাপন/ পালনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পরিহার করতে পারে। শিক্ষা সপ্তাহ, প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ, বিজ্ঞান সপ্তাহ, বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ (১-৭ অগাস্ট), বিশ্ব শিশু সপ্তাহ (২৯ সেপ্টেম্বর-৫ অক্টোবর), সশস্ত্র বাহিনী দিবস (২১ নভেম্বর), পুলিশ সপ্তাহ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সপ্তাহ, আনসার সপ্তাহ, মৎস্য পক্ষ, বৃক্ষরোপণ অভিযান এবং জাতীয় ক্রীড়া সপ্তাহ উদযাপন ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নিয়ে কর্মসূচি গ্রহণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদিত কর্মসূচি অনুযায়ী এসব অনুষ্ঠান আয়োজন করতে হবে। জাতীয় পর্যায়ের উৎসব ছাড়াও সাধারণভাবে দিবস উদযাপন/পালনের বিষয়ে পরিপত্রে বলা হয়েছে, সাজসজ্জা ও বড় ধরনের বিচিত্রানুষ্ঠান যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে।
তবে বেতার ও টেলিভিশনে আলোচনা এবং সীমিত আকারে সেমিনার বা সিম্পোজিয়াম আয়োজন করা যাবে। কর্মদিবসে সমাবেশ বা শোভাযাত্রা পরিহার করা হবে। কোনো সপ্তাহ উদযাপনের ক্ষেত্রে অনুষ্ঠানসূচি সাধারণভাবে তিনদিনের মধ্যে সীমিত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সরকারিভাবে গৃহীত কোনো কর্মসূচি যাতে অফিসের কার্যক্রমে ব্যাঘাত না ঘটায়, তা নিশ্চিত করতে হবে এবং আলোচনা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছুটির দিনে অথবা অফিস সময়ের পরে আয়োজনের চেষ্টা করতে হবে। এ নিয়ে পরিপত্রে বলা হয়েছে, নগদ কিংবা উপকরণ আকারে অর্থ বা সম্পদ ব্যয়ের প্রয়োজন হবে, এমন সাধারণ ইভেন্টগুলো ছুটির দিনে কিংবা কার্যদিবসে আয়োজন করা যাবে। যেমন- প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী প্রচার, পতাকা উত্তোলন (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), ঘরোয়া আলোচনা সভা, বেতার ও টেলিভিশনে আলোচনা, প্রত্রিকায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া ইত্যাদি। কোনো দিবস বা সপ্তাহ উদযাপন/পালন উপলক্ষে রাজধানীর বাইরে থেকে বা জেলা পর্যায় থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঢাকায় আনা যথাসম্ভব পরিহার করার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।