পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবশেষে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) বৈঠক হচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে চীনের বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগে আতঙ্কিত ভারত জেসিসি বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেয়। ভারতের বুদ্ধিজীবীদের বড় একটি অংশ তিস্তা চুক্তি করার জন্য মোদী সরকারকে পরামর্শ দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতারণা না করার পরামর্শ দিয়েছেন।
তারা বলেছেন, ঢাকার সঙ্গে দিল্লির প্রবঞ্চনামূলক আচরণ চীনকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ করে দিয়েছে। চুক্তি করে ফেনী নদীর পানি নিলেও তিস্তা চুক্তি ইস্যুর কারণে দিল্লি জেসিসি বৈঠকে অনিহা দেখায়। তবে এখন করোনার মধ্যেই ঘটা করে বৈঠক ডাকা হয়েছে। আজ এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তবে এবারের বৈঠকটি হবে ভার্চুয়ালি।
সূত্র জানায়, আজ বিকেল সাড়ে ৩টায় জেসিসি বৈঠক শুরু হবে। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আর ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর।
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে এবারের ষষ্ঠ জেসিসি বৈঠকের প্রস্তুতি নিয়ে গত রোববার ঢাকায় আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে আলোচ্য বিষয়গুলো নিয়ে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এবারের বৈঠকে দু’দেশের সহযোগিতার সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। বিশেষ করে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, সীমান্ত হত্যা, ভারতের ক্রেডিট লাইন, প্রতিরক্ষা, কানেক্টিভিটি, নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি বিষয় বৈঠকে উঠতে পারে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে চীনের বিপুল বিনিয়োগের খবর প্রচারের পর ভারতের গণমাধ্যমগুলো এ নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা শুরু করে। লাদাখ সীমান্তে চীনের উত্থানের জন্য মোদী সরকারকে দায়ী করা হয়। অতপর হিন্দুত্ববাদী আরএসএসের ভাবশিষ্য মোদী সরকারের দোঁড়ঝাপ শুরু হয়। করোনার মধ্যেই ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ঢাকায় ছুটে আসেন।
সূত্র আরও জানায়, জেসিসি বৈঠক সামনে রেখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর সম্প্রতি টেলিফোনে আলোচনাও করেছেন। এছাড়া ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার গত ১৮-১৯ আগস্ট ঢাকা সফরকালেও জেসিসি বৈঠকের বিষয়ে আলোচনা হয়।
এর আগে দু’দেশের মধ্যে কখনোই ভার্চুয়ালি জেসিসি বৈঠক হয়নি। তবে করোনাভাইরাসের কারণে এই প্রথম জেসিসি বৈঠক ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জেসিসির পঞ্চম বৈঠক হয়েছিল দিল্লিতে। ২০১৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের নেতৃত্বে সেই বৈঠক হয়েছিল। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন দায়িত্ব নেয়ার পর সেটাই ছিল তার প্রথম বিদেশ সফর।
জেসিসির চতুর্থ বৈঠক দিল্লিতে ২০১৭ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। আর ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দেশটির তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।