Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চালের বাজার গরম

বিক্রেতারা দায়ী করছেন মিলারদের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০৩ এএম

পেঁয়াজ-রসুন-আদাসহ নিত্যপণ্যের প্রায় সব কিছুর দাম বাড়লেও এতদিন অনেকটাই স্থিতিশীল ছিল চালের বাজার। তবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে চালের বাজারের চিত্রও পাল্টে গেছে। খুচরা ও পাইকারি বাজারে কেজিতে তিন থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে চালের। আর প্রকারভেদে চালের বস্তা প্রতি দাম বেড়েছে ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা। রাজধানীর বাজারগুলো ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। চালের বাজার গরম হওয়ায় বিপদে পড়েছেন নিম্ন ও সীমিত আয়ের মানুষ।

হঠাৎ করে চালের দাম বৃদ্ধি নিয়ে ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। বিক্রেতারা বলছেন- দর বৃদ্ধিতে তাদের হাত নেই। চালের মিল মালিকরা দর-দাম নিয়ন্ত্রণ করছেন। অনুসন্ধান করে জানা গেছে, মূলত সিন্ডিকেট করে চালের দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সরকারের কঠোর নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। শুধু তাই নয়, এ মৌসুমে সরকার যে পরিমাণ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল মিলারদের অসহযোগিতার কারণে সেটাও সম্ভব হয়নি।

রাজধানীর খুচরা বাজারে কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে বর্তমানে প্রতি কেজি আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, আর প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ টাকায়। কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি পাইজাম (স্বর্ণা চাল) বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা আর প্রতি বস্তা বিক্রি ২৪০০ টাকায়। মিনিকেট কেজিতে ৩ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকায় আর প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২৯০০ টাকায়। ৩ টাকা বেড়ে জিরা মিনিকেট প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকা দরে আর প্রতি বস্তা ২৮০০ টাকায়। কেজিতে ৩ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি নাজির চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা। আর ২৭৮০ থেকে ২৮০০ টাকা প্রতি বস্তা। কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা দরে আর প্রতি বস্তা (২৫ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ টাকায়।

রাজধানীর পাড়া-মহল্লার-দোকানদাররা জানান, গত সপ্তাহে প্রতি কেজি আটাশ চাল বিক্রি হয়েছিল ৪৬ টাকা কেজি দরে আর প্রতি বস্তা বিক্রি হয়েছিলো ২৩০০ টাকায়। সেই হিসাবে প্রতি বস্তায় দাম বেড়েছে ২০০ টাকা। গত সপ্তাহে পাইজাম (স্বর্ণা) বিক্রি হয়েছিল ৪৩ থেকে ৪৪ টাকায় আর প্রতি বস্তা ২১৫০ থেকে ২২০০ টাকার মধ্যে। সেই হিসাবে পাইজামের দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। মিনিকেট কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছিল ৫৫ টাকায় আর প্রতি বস্তা ২৬৫০ টাকা দরে। বর্তমানে বস্তায় ১৫০ টাকা বেড়েছে। জিরা মিনিকেট বস্তায় বেড়েছে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। নাজির চালে প্রতি বস্তায় দাম বেড়েছে ২০০ টাকা পর্যন্ত। আর পোলাও চালের প্রতি বস্তায় (২৫ কেজি) দাম বেড়েছে ১৭৫ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত।
শনিরআখড়া বাজারে চাল ক্রয় করতে আসা এক ক্রেতা বলেন, চালের দাম বাড়তি। ব্যবসায়ীরা বলছেন ‘বাজার গরম’। বাজার গরম হলে তো আমাদের সীমিত আয়ের মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হয়।

চালের দর বাড়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। তাদের মতে, বাজারে একটি পণ্যের দাম বাড়লে অন্যটির দাম বাড়াতে এক ধরনের প্রতিযোগিতায় নামেন ব্যবসায়ীরা। এর জন্য সীমিত আয়ের মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। একাধিক চাল চাল ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, দেশে চালের ঘাটতি নেই অথচ কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মিলাররা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। চালের বাজার বিশেষ করে দর-দাম সব মিলারদের হাতে। তারা দাম কমালে দাম কমে, স¤প্রতি মিলাররাই চালের দাম বাড়িয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চাল

১১ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ