পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গ্রামাঞ্চলের মানুষকে ডিজিটাল সেবার আওতায় আনতে তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর ডাকঘর বা ই-সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। এই খাতে সরকার ব্যয়ও করেছে। কিন্তু অস্তিত্বহীন ই-সেন্টারের নামে শত শত কোটি টাকা লুটপাট করেছেন ডাক বিভাগের মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্র। কেনা-কাটা থেকে শুরু করে ডিজিটাল পোস্ট সেন্টার স্থাপন-সব খানেই হয়েছে অনিয়ম।
ডিজিটাল সেন্টারের অস্তিত্বই নেই, তবুও নাম ভাঙিয়ে তুলে নিয়েছেন ৫৪০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। বিষয়টি আলোচনায় আসার পর সুধাংশু শেখর ভদ্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং এসব কমিটি দুর্নীতির প্রমাণও পেয়েছে। এরপর ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি ডাক বিভাগের মহাপরিচালককে নানা রকম দুর্নীতির দায়ে অপসারণের সুপরিশ করে। এতেই প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় ডাক বিভাগের মহাপরিচালকের পদ হারাতে যাচ্ছেন সুধাংশু শেখর ভদ্র। তবে বিদায় পরবর্তী সময়ে যাতে সবচেয়ে কম জটিলতায় পড়েন এজন্য সেই একই পদে নিজের অনুসারী ও আস্থাভাজন ব্যক্তিকে বসাতে এখন উঠে পড়ে লেখেছেন তিনি। চেষ্টা চালাচ্ছেন ৫ ব্যাচ টপকে একজনকে মহাপরিচালক বানাতে। জানা গেছে, সুধাংশু শেখর ভদ্র বিদায় নিশ্চিত হিসেবে ধরে নিয়েছেন। এ জন্যে মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় অন্তত ৫ ব্যাচ টপকে ১৩ ব্যাচের একজন কর্মকর্তাকে মহাপরিচালক বানাতে চেষ্টা করছেন তিনি। ডাক বিভাগের ১৩ ব্যাচের কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত মহাপরিচালক হারুন অর রশীদকে মহাপরিচালক পদে বসাতে ব্যপক ভিত্তিতে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন ভদ্র। হারুন অর রশীদকে মহাপরিচালক বানাতে হলে তার আগের পাঁচটি ব্যাচের অন্তত ছয়জন কর্মকর্তাকে টপকে যেতে হবে-যা ডাক বিভাগের দুইশত বছরে ইতিহাসে কখনো ঘটেনি বলে নিশ্চিত করেছেন সিনিয়র কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ডাক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, হারুন অর রশীদের আগেও সপ্তম ব্যাচের কর্মকর্তা জাহেদা সাত্তার, অস্টম, নবম ও দশম ব্যাচের কর্মকর্তা সিরাজউদ্দিন ফাইজুল আজিম, তরুণ কান্তি সিকার এবং বাহিজা বেগম রয়ে গেছেন। এরা সকলেই অতিরিক্ত মহাপরিচালক বা একই পদপর্যাদার পোস্ট মাস্টার জেনারেল পদে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্ত তারেকে টপকে হারুন বিবেচনা করা হচ্ছে সুধাংশু শেখরের বিভিন্ন কর্মকান্ডের সঙ্গে এর আগে তার সম্পর্কিত থাকার কারণে। বিষয়টি নিয়ে ডাক বিভাগে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে সুধাংশু যখন নানা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ছিলেন তখন হারুন অর রশীদকে দিয়েই এসব কাজের বড় অংশ করিয়েছেন তিনি। ফলে এখন হারুন অর রশীদ মহাপরিচালকের দায়িত্ব পেলে সুধাংশু শেখর সবচেয়ে কম ঝামেলায় পড়বেন বলেও মনে করছেন তারা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, তদন্ত কমিটি হওয়ায় মূলত ডাক বিভাগের ডিজিটালাইজেশনের বিষয়গুলোর দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত কমিটি হওয়া এবং তার ভিত্তিতে সুধাংশ অসততার বিষয়গুলো সামনে আসলেও মতিঝিলে ২০তলা বিশিষ্ট আটটি ভবন নির্মণ নিয়েও নানা অনিয়ম হয়েছে। আর এর সব কিছুর সা²ী হারুন। নতুন মহাপরিচালক নিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার এবং সচিব মো. নূর-উর রহমানও দ্বিধাবিভক্ত মত পোষণ করেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
আর এক কারণে নতুন মহাপরিচালক বাছাই এবং ডাক বিভাগের সার্বিক বিষয় নিয়ে গত বৃহস্পতিবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে বৈঠক আহবান করা হলেও মন্ত্রী না থাকায় সচিবও সে বৈঠকে যোগ দেননি। ফলে মন্ত্রী-সচিবের অনুপস্থিতিতে কিছু আলোচনা হলেও কোনো সুপারিশের সিদ্ধান্তই হয়নি।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ডাক বিভাগের মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্র ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক হারুন অর রশিদের ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। দু’জনের ফোনই বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, আমরা যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি আগে সেটির চূড়ান্ত রিপোর্ট আসুক, সেখানে কি আসে সেটার প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।