পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রাজনীতিক ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম ছোট্ট দল। প্রতিষ্ঠার পর দলের অধিকাংশ নেতাই ‘গণফোরাম ত্যাগ’ করেছেন। এখন ২৭ বছরের মাথায় দলটি ভেঙে দ্বিখন্ডিত হলো। গতকাল দলটির বর্ধিত সভায় গণফোরাম থেকে দলটির সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, কেন্দ্রীয় নেতা মহসীন রশিদ, আহমেদ শফিকুল্লাহ ও মুসতাক আহমদকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়া দলটির প্রতিষ্ঠাতা ড. কামাল হোসেনকে রাখা হবে কি না সে বিষয়ে আগামী ২৬ ডিসেম্বর নেতা-কর্মীরা কাউন্সিলের মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। বেরিয়ে যাওয়া অংশের নেতৃত্বে দিচ্ছেন দলটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, সাবেক নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ও সাবেক নির্বাহী সভাপতি আবু সাইয়িদ। গণফোরামের একাংশের বর্ধিত সভার পর গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে গণফোরামের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, আগামী ২৬ ডিসেম্বর দলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। কাউন্সিল সম্পন্ন করার জন্য ২০১ সদস্যের প্রস্তুতি কমিটি করা হয়েছে। মোস্তফা মহসিন মন্টু এই প্রস্তুতি কমিটির প্রধান ও আহ্বায়ক।
এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলায় বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার টানানো ব্যানারে লেখা ছিল ‘অর্থবহ পরিবর্তনের লক্ষ্যে চাই জাতীয় ঐক্য : বর্ধিত সভা: গণফোরাম’। উল্লেখ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচন করতে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, ড. রেজা কিবরিয়া, আমসা আমিন গণফোরামে যোগদান করেন।
বর্ধিত সভার মূল মঞ্চে ছিলেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, সাবেক নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা জগলুল হায়দার আফ্রিক, আসাদুজ্জামান, খান সিদ্দিকুর রহমান, আবদুর রায়হান, মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, ফজলুল হক সরকার, এম এ মতিন। জাতীয় কাউন্সিলকে সফল করার লক্ষ্যে সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুকে আহ্বায়ক করে ২০১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে ১৯৯৩ সালে গণফোরাম গঠন করেন ড. কামাল হোসেন। সে সময় প্রখ্যাত অনেক নেতা দলে যোগ দেন। পরবর্তীতে ড. কামাল সভাপতি ও সাইফুদ্দিন আহমদ মানিককে সাধারণ সম্পাদক করে দলটি পথ চলা শুরু করে। মাঝপথে প্রায় দুই ডজন প্রখ্যাত নেতা দলত্যাগ করেছেন। এর আগে গত ৪ মার্চ দলটিতে পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারের ঘটনা ঘটে। দলটির একজন সংসদ সদস্য থাকলেও সারাদেশে ১০ জেলায় জেলা কমিটি গঠনের মতো সাংগঠনিক অবস্থা নেই বলে জানা গেছে।
এদিকে ড. কামাল হোসেন বলেছেন, আমি ছাড়া অন্য করো বর্ধিত সভা ডাকার কোনো বৈধতা নেই। ওদের কোনো সাংগঠনিক ক্ষমতা এবং এই ধরনের মিটিং করার বৈধতা নেই। এই মিটিংয়ের সাথে গণফোরামের কোনো সম্পর্ক নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।