পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মিরপুর থেকে দুইজন
গ্রেফতার
রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি মুমূর্ষু স্বামীর জন্য রক্ত জোগার করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী। এ ঘটনায় ধর্ষক মো. মনোয়ার হোসেন ওরফে সজীব (৪৩) এবং ধর্ষণে সহায়তাকারী মাশনু আরা বেগম ওরফে শিল্পীকে (৪০) গ্রেফতার করেছে র্যাব। গত শুক্রবার রাতে মিরপুরে মনিপুরীপাড়ায় শিফা ভিলা নামের একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গতকাল র্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মো. আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে ভুক্তভোগী নারী অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করান। দায়িত্বরত চিকিৎসক স্বামীর জন্য রক্ত প্রয়োজন এবং জরুরি ভিত্তিতে রক্তের ব্যবস্থা করার পরার্মশ দেন।
এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী নারী হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার ব্লাড ব্যাংকের সামনে গিয়ে তিন-চারজন পুরুষকে বসা দেখতে পেয়ে রক্তের বিষয়ে জানতে চাইলে মনোয়ার হোসেন ওরফে সজীব রক্তের ব্যবস্থা করে দেবেন বলে জানান। পরে কৌশলে রক্তের ব্যবস্থা করে দেয়ার নাম করে মিরপুরে শিল্পীর বাসায় নিয়ে যান। ওই বাসায় নিয়ে শিল্পীর সহযোগিতায় তাকে ধর্ষণ করে মনোয়ার।
র্যাবের ওই কর্মকর্তা জানান, ভুক্তভোগী নারী লোকলজ্জার ভয়ে ও স্বামীর অসুস্থতার কারণে ধর্ষণের বিষয়টি গোপন রাখেন। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তার স্বামীর মোবাইলে কল করে তারা বলে রক্তের ব্যবস্থা হয়েছে- আপনার স্ত্রীকে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় পাঠিয়ে দেন। তখন ওই নারী পুনরায় ধর্ষিত হওয়ার ভয়ে তার স্বামীকে বিষয়টি খুলে বলেন। এরপর তারা দুজন র্যাব-২ এর অধিনায়ক বরাবর অভিযোগ করলে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া য়ায়। এ প্রেক্ষিতে র্যাব-২ এর একটি দল মনোয়ার হোসেন ও তার সহযোগী শিল্পীকে গ্রেফতার করে।
তিনি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মনোয়ার শিল্পীর সহযোগিতায় ভিকটিমকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। শিল্পীর সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে জানায় মনোয়ার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।