Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা সম্প্রসারণে যাচ্ছে লুব-রেফ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০২ এএম

লুব্রিকেন্টস শিল্পে বাংলাদেশকে স্বনির্ভর করে বিদেশে রপ্তানী করার লক্ষ্যে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে চায় লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড। ইতোমধ্যে ‘বিএনও’ ব্র্যান্ড বাজারজাতকরা এ কোম্পানিটি ৪০০ কোটি টাকার বিনিয়োগে বেইজ অয়েল রিফাইনারী প্লান্ট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে লুব্রিকেন্টসের বিপুল সম্ভাবনা দেখে ব্যবসা সম্প্রসারণে এ উদ্যোগ নিয়েছে জ্বালানি খাতের এই কোম্পানিটি। লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড ২০২৫ সালের মধ্যে লুব্রিকেন্টস বাজারের ২০ শতাংশ স্থান দখল করার লক্ষ্যে আধুনিক পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াচ্ছে বলে জানান কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ ইউসুফ। 

গতকাল শনিবার চট্টগ্রামে বিসিক শিল্প নগরীতে কোম্পানির কারখানা প্রাঙ্গণে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, পেট্রোকেমিক্যাল ও লুব্রিক্যান্ট শিল্পে তাদের প্রায় চার দশকের অভিজ্ঞতা। স্থানীয় প্লান্টে বিশ্বমানের লুব্রিক্যান্টস প্রস্তুত করে এরই মধ্যে বাজারের আস্থা অর্জন করেছে লুব-রেফের ব্র্যান্ড ’বিএনও’।
এই খাতের বিপুল চাহিদার কথা বিবেচনা করে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে কর্ণফুলি নদীর তীরে একটি ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল থিম পার্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের সর্বপ্রথম বেইজ অয়েল রিফাইনারী ও বিশেষায়িত বিটুমিন প্লান্ট ও এক লাখ টনের একটি ট্যাঙ্ক টার্মিনাল প্রস্তুতের উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন বলে মোহাম্মদ ইউসুফ উল্লেখ করেন। এসব প্রকল্পের পুঁজি সংগ্রহের লক্ষ্যে পুঁজিবাজার থেকে কোম্পানিটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও)মাধ্যমে ১৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে, যা ইতোমধ্যে বিন্ডিংয়ের জন্য অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সংগৃহীত টাকায় নতুন যন্ত্রপাতি কেনা, ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের খরচ খাতে ব্যয় করবে। কোম্পানিটির ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত সমন্বিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী যথাক্রমে শেয়ার প্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (পুনর্মূল্যায়নসঞ্চিতিসহ) ৩১টাকা ৯৩ পয়সা ও শেয়ার প্রতি নিট সম্পত্তির মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতি ব্যতীত) ২৫ টাকা ৯৬ পয়সা। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ২টাকা ৮ পয়সা। বিগত ৫টি আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কর পরবর্তী নীট মুনাফার ভারিত গড় হারে শেয়ার প্রতি আয় (ওয়েটেড এভারেজ ইপিএস) ২ টাকা ২৩পয়সা।
লুব-রেফের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) মোহাম্মদ মফিজুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজার থেকে সংগৃহীত অর্থ দিয়ে ব্যবসা সম্প্রসারণের মাধ্যমে কোম্পানির লুব্রিকেন্ট উৎপাদন সক্ষমতা ও বিক্রয় বৃদ্ধি পাবে। যার ফলশ্রুতিতে লুব্রিকেন্ট তেল আমদানি নির্ভরতা হ্রাস পেয়ে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে এবং দেশের শিক্ষিত ও প্রযুক্তি নির্ভর বেকার জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার প্রাথমিক অনুমোদন পাওয়ার মাধ্যমে লুব-রেফে জনগণের অংশীদার হওয়ার সুযোগ তৈরি হলো বলে মনে করেন তিনি। এদিকে বিসিক শিল্প এলাকায় প্রায় এক একর জমির উপরে প্রতিষ্ঠিত লুব-রেফের কারখানা ঘুরে দেখা যায়, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের লুব্রিকেন্টস উৎপাদনে কাজ করছে রসায়নবিদ ও প্রকৌশলী সহ ২৫০ জনেরও বেশি জনবল। আধুনিক প্রযুক্তিতে অটোমোটিভ, ইন্ড্রাষ্টিয়াল ও মেরিন লুব্রিকেটিং পণ্য উৎপাদন করে বাজারজাত করছে এই প্রতিষ্ঠান। লুব্রিকেন্টস শিল্পে উদ্ভাবনী প্রযুক্তিগত উন্নয়নে ন্যানো ও নিনাস নামের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এ প্রযুক্তির ব্যবহার বাংলাদেশে এটিই প্রথম বলে দাবি করেন কোম্পানিটির কর্তারা। পথিমধ্যে কর্ণফুলী নদীর তীরে প্রতিষ্ঠিতব্য “থিম পার্কের” নতুন প্রকল্প সমূহের নির্ধারিত ৩০ একর জমি সরজমিনে দেখানো হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লুব-রেফ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ