পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আফজাল বারী : সংগঠন শক্তিশালী করতে মহাপরিকল্পনা নিয়েছে বিএনপি। সময় উপযোগী ও ভবিষ্যৎ সঠিক নেতৃত্ব গড়ে তুলতে শুধু নেতাই নয়, সাধারণ কর্মীর পরামর্শও শুনতে চান দলটির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। তাই মার্চে জাতীয় কাউন্সিলের ডাক দিয়েছেন তিনি। শীর্ষ নেতার নির্দেশনা পেয়েই বাধার পাহাড় ঠেলে প্রস্তুতি নিচ্ছেন নীতিনির্ধারকরা।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের সাথে আলাপকালে তারা ইনকিলাবকে বলেন, তাদের সকল আয়োজন ভ-ুল করতে মরিয়া রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। শীর্ষ নেতাকে মাইনাস করা, দল ভাঙা, নেতা বাগানোর কূটচালে ব্যর্থ হয়েছে। এখন মিশন ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল। এই মিশনে ব্যবহার করা হচ্ছে মিডিয়াকে। দলের নেতায় নেতায় গ্রুপিংয়ের ঘিতে আগুন দেয়ার কাজটি করছে প্রতিপক্ষের তলপিবাহক কিছু মিডিয়া।
ভোটের মাধ্যমে পাঁচবার নির্বাচিত চেয়ারপার্সনকে এখন রাজনীতির পর্দার আড়ালে নেয়ার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ লক্ষ্যেই প্রতিনিয়ত কাউন্সিল ও নেতৃত্বের রকমফের নিয়ে কল্পকাহিনী প্রকাশ করা হচ্ছে। বর্তমান শীর্ষ নেতৃত্বের বিকল্প নেতা বানানোর চেষ্টা হচ্ছে তারই ছেলে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানকে। সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান থেকে কো-চেয়ারম্যানে রূপ দেয়া হচ্ছে।
দলের পরিচ্ছন্ন নেতা ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের বিকল্পও তালাশ করছে প্রতিপক্ষ। তাতে শামিল হয়েছেন নিজদলীয় কিছু নেতা। অন্যদিকে সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়িতে আগুন দেয়া থেকে শুরু করে বাহারি ঘটনায় মামলার আসামি বর্তমান ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। দলটির সাবেক ছয়জন মহাসচিবের মধ্যে তিনি সর্বোচ্চবার কারাবাস এবং সবচেয়ে বেশি নিগৃহীত হয়েছেন।
ওই মিশনে আছে এক নেতার বন্দনা। আবার তারই মন্তব্যকে পুঁজি করে অন্য নেতার বিরুদ্ধে ভর্ৎসনা সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে নেতা-কর্মীদের মনভূমিতে বিভ্রান্তির বীজ ছড়ানো হচ্ছে। গ্রুপিংয়ে জড়িয়ে পড়ছেন তারা।
এদিকে বিএনপির অভ্যন্তরেই চাউর রয়েছে Ñ প্রতিপক্ষের অ্যাসাইনমেন্ট বাস্তবায়ন করবেন এমন প্রতিশ্রুতির বদৌলতেই জেলমুক্ত হয়েছেন বেশকিছু নেতা। বিএনপির বদৌলতে যারা ধনকুবের হয়েছেন আরাম-আয়েশে দিন কাটাতে তারাও হাত মিলিয়েছেন ওই মিশনে। আন্দোলন-সংগ্রামের সময় পর্দার অন্তরালে মাসের পর মাস দিনাতিপাত করে এখন প্রকাশ্যে আসছেন। শীর্ষ নেতার করুণা পাওয়ার জন্য কেউ কেউ কারাগারের ‘আঁতাতবন্দি’ দিন কাটাচ্ছেন।
সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নেমান। তিনি আসন্ন কাউন্সিলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বলেন, কাউন্সিল ঘিরে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। এখনো স্থান নির্ধারণ করে দিচ্ছে না সরকার। তারা চায় না বিএনপি সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হোক। আর ক্ষমতাসীনদের বন্ধুবর কিছু গণমাধ্যম কাউন্সিল ঘিরে খবর প্রকাশ করছে তাতে কোনো ভিত্তি নেই। আমাদের শীর্ষ নেতা বেগম খালেদা জিয়া। ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। এ নিয়ে প্রশ্নও নেই। দলের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যানের যে দায়িত্ব রয়েছে তাতে ক্ষমতাযোগের প্রশ্ন এখন নেই। যা লেখালেখি হচ্ছে তা হয়তো আদেশ-নির্দেশে। কারণ সবাই তো বিএনপির বন্ধু নয়। আবার বন্ধু হয়ে শত্রুর কাজও করে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান ইনকিলাবকে বলেন, বিএনপি সুসংগঠিত করতে, যোগ্য-সঠিক নেতৃত্ব গড়ে তুলতে ম্যাডাম খালেদা জিয়া যে সিদ্ধান্ত নেবেন তাতে আমার অবিচল আস্থা ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।