পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খানকে অব্যাহতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রকৌশলীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব)। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হাসিন আহমেদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেটিং বিভাগের ড. মোর্শেদ হাসান খানকে প্রতিহিংসাবশত বিধিবহির্ভূতভাবে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।
নেতৃদ্বয় বিবৃতিতে বলেন, অবৈধ ভোটারবিহীন স্বৈরাচারী সরকার পেশাজীবীদের বাকরুদ্ধ করার এক নীল নকশার অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মোর্শেদের অব্যাহতির এই কর্মকান্ড করেছে। তারা বলেন, ড. মোর্শেদকে একটি পত্রিকায় নিবন্ধ লেখার অজুহাতে চাকুরী থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। অথচ উক্ত পত্রিকায় নিবন্ধ প্রকাশের পর তিনি তা প্রত্যাহার করে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তাকে যে প্রক্রিয়ায় অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তা বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ এ্যাক্ট এর পরিপন্থী। এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ প্রফেসর ড. মোর্শেদের অবৈধ অব্যাহতির আদেশ প্রত্যাহার ও চাকরিতে পুনর্বহালের জোর দাবি জানায়।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতিবাদ: এদিকে ড. মোর্শেদ হাসান খানকে অব্যাহতি প্রদানের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষকদের সংগঠন (এনটিএ)। সংগঠনের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম ও সাধারণ সম্পাদক মো. খসরুল আলম এক বিবৃতিতে বলেন, গণতান্ত্রিক চর্চা ও বাক-স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ধরনের অবস্থান প্রতিষ্ঠানটির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ভূলুণ্ঠিত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্স্ট স্ট্যাটিউটের ৪৫(৩)(৪) উপধারায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩’র আদেশের ৫৬(৩) উপধারায় চাকরিচ্যুতির বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া আছে। সেখানে বলা হয়েছে- ‘নৈতিক স্খলন, অদক্ষতা, বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও চাকুরি পরিপন্থী’ কাজের সাথে যুক্ত থাকার অপরাধে কোনো শিক্ষক বা কর্তকর্তাকে চাকুরি থেকে অব্যাহতি প্রদান করা যেতে পারে। কিন্তু ড. মোর্শেদের ২০১৮ সালের মার্চে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রবন্ধে লেখা উল্লিখিত অপরাধের কোনোটিতেই পড়ে না। আমরা আশা করি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনতিবিলম্বে এই বৈষম্য ও পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহার করে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ এবং মুক্ত জ্ঞান চর্চায় ভুমিকা রাখবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।