Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জৈব জ্বালানি নীতিমালার কারণে বাড়ছে চাহিদা

ইন্দোনেশিয়ায় পাম অয়েলের মজুদ হ্রাস

প্রকাশের সময় : ১১ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম



ইনকিলাব ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়ায় চলতি বছরের জুনে পাম অয়েলের মজুদ কমেছে। দেশটিতে জৈব জ্বালানি তৈরিতে পাম অয়েলের ব্যবহার বৃদ্ধি মজুদ হ্রাসে ভূমিকা রাখছে। ইন্দোনেশিয়ান পাম অয়েল অ্যাসোসিয়েশন (গ্যাপকি) সাম্প্রতএক তথ্যে জানায়, ২০১৬ সালের জুনে দেশটিতে ১৮ লাখ টন পাম অয়েল মজুদ হয়। এর পরিমাণ আগের মাসে ছিল ১৯ লাখ ৬০ হাজার টন। সে হিসাবে চলতি বছরের মে মাসের তুলনায় জুনে ইন্দোনেশিয়ায় পাম অয়েলের মজুদ ৮ দশমিক ২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবে অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে ব্লুমবার্গের জরিপের তারতম্য রয়েছে। কেননা ব্লুমবার্গের জরিপ বিশ্লেষকরা চলতি বছরের মে মাসের তুলনায় জুনে পণ্যটির মজুদ ৩ দশমিক ১ শতাংশ হ্রাসের কথা জানিয়েছে। অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য মোতাবেক, চলতি বছরের জুন মাসে ইন্দোনেশিয়া থেকে পাম ও কার্নেল অয়েলের রফতানি ১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১৭ লাখ ৮০ হাজার টনে। অন্যদিকে একই সময়ে দেশটিতে পণ্যটির অভ্যন্তরীণ ব্যবহার ৬ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৯ লাখ ৫৫ হাজার টনে। এদিকে ইন্দোনেশিয়ায় পাম অয়েলের মজুদ হ্রাস ভোজ্যতেলটির দাম স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করছে। পাম অয়েল চকোলেট কসমেটিক ও জৈব জ্বালানি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। পাম অয়েলের দ্বিতীয় শীর্ষ উৎপাদক দেশ মালয়েশিয়া। গত মাসে দেশটিতে পণ্যটির উৎপাদন পুনরুদ্ধার হওয়ায় ওই সময় কুয়ালালামপুরে পাম অয়েলের দামে পড়ে যায়। এ সময় সয়াবিন তেলের সরবরাহও ছিল বাড়তির দিকে। এ কারণে গত ১২ জুলাই কুয়ালালামপুরে পাম অয়েলের দাম ১৩ শতাংশ কমে টনপ্রতি ২ হাজার ১৮৬ রিঙ্গিতে লেনদেন হয়, যা ছিল সেপ্টেম্বরের পর সর্বনিম্ন দর। গ্যাপকির নির্বাহী পরিচালক ফাদিল হাসান বলেন, ইন্দোনেশিয়ায় জৈব জ্বালানি নীতিমালা ধারাবাহিকভাবে কার্যকর হচ্ছে। এ কারণে পাম অয়েলের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়তে পারে। এ পরিস্থিতিতে উৎপাদকরা রফতানির চেয়ে পণ্যটির অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণে পাম অয়েল মজুদকে বেশি গুরুত্ব দেবে। বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে গতকাল পাম অয়েলের দাম টনপ্রতি ১ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে লেনদেন হয় ২ হাজার ৪৭৫ রিঙ্গিতে। পণ্যটির এ দর ১৫ জুনের পর সর্বোচ্চ। গ্যাপকির তথ্যমতে, চলতি বছরের জুনে ইন্দোনেশিয়ায় ২৬ লাখ ৯০ হাজার টন পাম অয়েল উৎপাদন হয়। সূত্র : ব্লুমবার্গ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জৈব জ্বালানি নীতিমালার কারণে বাড়ছে চাহিদা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ