পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বৃহস্পতিবার দুপুর। রাজধানীর গুলশানে ইমানুয়েলস কনভেনশন সেন্টারে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন দলের চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। জাপা মহানগর উত্তর এ সংবর্ধনার আয়োজন করে। বক্তব্যের শুরুতেই এইচএম এরশাদ উল্লেখ করেন, তোমাদের একটা কথা বলি, একটু আগে রওশন ফোন করেছিলেন। আমাকে বললেন, তুমি কোথায়? আমি বললাম, আমার ভাইয়ের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে আছি। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, আমাকে নিলে না কেন? আমি বললাম, এখানে তো আমারও আসার কথা ছিল না, অনেকটা হঠাৎ করেই এসে পড়েছি। দলের কর্মী-সংগঠকদের উদ্দেশে এরশাদ বলেন, আজ এখানে আমার আসার কথা ছিল না, তবু আমি এসেছি। আমি শুধু এসেছি তোমাদের জন্য। তোমাদের দেখে ভালো লাগল, দুঃখ-বেদনা-হতাশা দূর হয়ে গেল। সাবেক মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর সমালোচনা করেন তিনি। জিএম কাদেরকে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবং রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব পদে পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত গ্রহণ সঠিক ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি। এরপর এরশাদ বলেন, রুহুল আমিন ১৪ বছর দলের মহাসচিব ছিল। কিন্তু আমি তাকে সরিয়ে দেওয়ার পর কোনোদিন আমার বিরুদ্ধে একটি কথাও বলেনি। এই হচ্ছে আনুগত্য, এই হচ্ছে ভালোবাসা, এই হচ্ছে প্রেম। আর একজনকে মহাসচিব করেছিলাম, আমার ভাইকে পদ দেয়ার কারণে তিনি আমাকে আমার পার্টি থেকে বহিষ্কার করে দিলেন। এটা কোনো কথা হতে পারে? উপস্থিত কর্মী-সমর্থকরা এ সময় সমস্বরে বলে ওঠেন, ‘না... না... না, বাবলু বেঈমান... বেঈমান। এরপর কর্মীদের উদ্দেশে এরশাদ বলেন, ‘আজ থেকে সব দুঃখ ভুলে গেলাম। আমরা এগিয়ে চলব। তোমরা প্রস্তুত?’ কর্মী-সমর্থকরা বলে ওঠেন, ‘হ্যাঁ হ্যাঁ... হ্যাঁ...।
ভাই জিএম কাদের সম্পর্কে এরশাদ বলেন, এতদিন তোমরা আমার কথা শুনেছ, এখন থেকে আমার ভাইয়ের কথা শুনবে। তার কথা মেনে চলবে। আমার ভাই স্পষ্ট কথা বলে। সবার মধ্যে দেখি, তোষামোদের প্রবণতা। এটা আমি পছন্দ করি না। তোমরা যে বল, আমি অমুক-তমুক Ñ আমার দুঃখ লাগে। আমি ভালো কি মন্দ তা জনগণ বিচার করবে। আমাকে শুধু বলবে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, আর কিছু নয়। জাতীয় পার্টির সামনে সোনালি ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে উল্লেখ করে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি সব সময় মানুষের পাশে ছিলাম। মুখে খাবার তুলে দিয়েছি, বিপদে আপদে সহায় হয়ে দাঁড়িয়েছি...কোনোদিন কারো ক্ষতি করিনি। আমার হাতে কারো রক্তের দাগ নেই। মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছিলাম। এত বছর আমার শুধু একটাই চিন্তা ছিল আবার কি এই শোষিত-বঞ্চিত-অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ পাব? আবার কি তাদের মুখে হাসি ফোটাতে পারব? কিন্তু এখন আর চিন্তা নেই। আমি আশার আলো দেখছি। জাতীয় পার্টিতে নবজাগরণের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা কোনো ক্ষয়িষ্ণু দল নই। আমর জয়ী হব... জয়ী হব... জয়ী হব। তোমরা শুধু আমার ভাইয়ের পাশে থাকবে, মহাসচিবের পাশে থাকবে। জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের এস এম ফয়সল চিশতীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির নবনিযুক্ত কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হওলাদার। অনুষ্ঠানে প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাইদুর রহমান টেপা, মীর আবদুস সবুর আদুস, ভাইস চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রিন্টু আনোয়ার, যুগ্ম মহাসচিব জহিরুল ইসলাম জহির, আরিফ খান, গোলাম মোহাম্মদ রাজু, দিদারুল আলম দিদার, নরুল ইসলাম নুরুসহ কেন্দ্রীয় নেতা এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।