পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ সুবিধা পাচ্ছেন না করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা। ব্যাংকগুলো বলছে- নিয়মিত গ্রাহকরা নয়; এমন সমস্যায় পড়ছেন প্যাকেজের ঋণ নিতে আসা কিছু নতুন গ্রাহক। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্যাকেজের সুদ হারে সরকার বিশেষ নীতি সহায়তা দিলেই নতুন গ্রাহকের ঋণপ্রাপ্তি সহজ হবে। আর সিএমএসএমই ((কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি) খাতের ঋণ বিতরণে ব্যাংকগুলোতে তদারকিও বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
করোনা মহামারিতে চাপে থাকা অর্থনীতি চাঙা করতে সরকার ঘোষিত ২১টি প্রণোদনার ১ লাখ ১২ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকার মধ্যে শিল্প ও সেবা খাতের প্যাকেজ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। আগস্টের মধ্যেই যার বেশিরভাগ ঋণ বিতরণ হয়েছে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে।
কিন্তু উল্টো চিত্র ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পে। এই প্যাকেজের ঋণ বিতরণ এখনো বাকি সাড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকা। বিতরণের ব্যবধানে যা পিছিয়ে আছে ৫৪ শতাংশ। ক্ষুদ্র-মাঝারি উদ্যোক্তারা বলছেন, সব নিয়ম মেনে প্রণোদনার ঋণ চাইলেও দিতে রাজি হচ্ছে না অনেক ব্যাংক।
নাদিরা ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের উদ্যোক্তা ড. শরীফ আহমেদ চৌধুরী বলেন, আমি সাতটি ব্যাংকে গিয়েছিলাম, সাতটি ব্যাংক থেকেই কিন্তু আমাদের নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। বলা হচ্ছিল, এই প্যাকেজগুলো হয়তো আপনাদের জন্য না। আপনারা বরং সিসি’র জন্য আবেদন করতে পারেন। প্রশ্ন হচ্ছে-আমি সিসি’র জন্য কেন যাব? এসব অভিযোগ স্বীকার করে ব্যাংকগুলো বলছে- নিয়মিত লেনদেনে সম্পর্ক থাকা গ্রাহকরাই প্যাকেজের ঋণে ব্যাংকের কাছে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।
ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, স্বাভাবিকভাবে সকল ব্যাংকই চেষ্টা করবে, আগে নিজের চেনা পরিচিত গ্রাহক যারা আছেন, বহু বছরের ব্যাংকার-কাস্টমার রিলেশন যাদের সাথে আছে তাদের ফোকাস করতে।
এর সমাধান হিসেবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, করোনাকালে ব্যবসায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, এমন নতুন গ্রাহকদের ঋণ প্রদানে ব্যাংকগুলোকে উৎসাহিত করতে হবে সরকারকেই।
বিআইডিএস’র সিনিয়র গবেষক ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, ব্যাংকের কাছে ভাল ক্লাইন্ট হচ্ছে যার ক্ষতি কম হয়েছে। অথচ প্রণোদনার মূল লক্ষ্য হচ্ছে যার ক্ষতি বেশি তাকে বেশি সহযোগীতা করা। এই দুইয়ের মধ্যে কিন্তু সাংঘর্ষিক ব্যাপার। বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু নিয়ম শিথিল করেছে। আমি মনে করি আরো কিছু শিথিল করা দরকার।
কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি খাতের প্যাকেজে গতি ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও। এখন থেকে সাপ্তাহিক ও মাসিক ভিত্তিতে ঋণ বিতরণের তথ্য দিতে হবে ব্যাংকগুলোকে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ক্ষুদ্র লোন যাতে কম না হয়, সে জিনিসটা দেখাশোনার জন্যই বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার দিয়েছে। কৃষি খাত বাদে অক্টোবরের মধ্যেই বাকি প্রণোদনা প্যাকেজগুলোর ঋণ বিতরণ শেষ করতে হবে ব্যাংকগুলোকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।