Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাবেক এমপি সাখাওয়াতের মৃত্যুদন্ড

প্রকাশের সময় : ১১ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জাতীয় পার্টির ধর্র্মবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সাখাওয়াত হোসেনকে মৃত্যুদন্ড এবং এই মামলার অন্য সাত আসামিকে আমৃত্যু কারাদ- দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। গতকাল বুধবার বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। বিচার শেষে ১৪ জুলাই মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়। সরকার ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বা গুলি করে সাখাওয়াতের মৃত্যুদ- কার্যকর করতে পারবে।
এ মামলার অন্য সাত আসামি হলেনÑ মো: বিলাল হোসেন, মো: ইব্রাহিম হোসেন, শেখ মো: মজিবুর রহমান, মো: আবদুল আজিজ সরদার,
আবদুল আজিজ সরদার, কাজী ওয়াহেদুল ইসলাম ও মো: আবদুল খালেক মোড়ল। তাদের মধ্যে কারাগারে রয়েছেন সাখাওয়াত হোসেন ও মো: বিলাল হোসেন। ৯ আসামির মধ্যে মো: লুৎফর মোড়ল গ্রেফতার হওয়ার পর অসুস্থ হয়ে কারাগারে মারা যাওয়ায় তাকে আসামি তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। অন্য আসামিরা পলাতক।
প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম, রেজিয়া সুলতানা চমন, আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান, পলাতক আসামিদের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আবদুস শুকুর খান। আসামিদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা পাঁচটি অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে প্রসিকিউশন। তবে সাখাওয়াতের আইনজীবী আপিল করার কথা জানিয়েছেন।
প্রথম অভিযোগে সাখাওয়াত, ইব্রাহিম, মো: এ আজিজ সরদার ও আবদুল আজিজ সরদারকে ২০ বছর করে কারাদ- দেয়া হয়েছে। প্রথম অভিযোগে বলা হয়, যশোরের কেশবপুর উপজেলার বোগা গ্রামে এক নারীকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন এবং ধর্ষণ। দ্বিতীয় অভিযোগ, একই উপজেলার চিংড়া গ্রামের চাঁদতুল্য গাজী ও তার ছেলে আতিয়ারকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও হত্যা। এই অভিযোগে সাখাওয়াতকে মৃত্যুদ-, অন্য সাতজনকে আমৃত্যু কারাদ- দেয়া হয়েছে। তৃতীয় অভিযোগ, কেশবপুরের চিংড়া গ্রামের মো: নুরুদ্দিন মোড়লকে অপহরণ, আটক ও নির্যাতন। এই অভিযোগে সাখাওয়াত, মজিবুর, আবদুল খালেককে ১০ বছর করে কারাদ- ও ইব্রাহিমকে খালাস দেয়া হয়েছে। চতুর্থ অভিযোগ, কেশবপুরের হিজলডাঙার আ: মালেক সরদারকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও খুন। এই অভিযোগে সাখাওয়াতকে মৃত্যুদ-, ইব্রাহিম, মো: এ আজিজ, আবদুল আজিজ সরদার ও আবদুল খালেক মোড়লকে আমৃত্যু কারাদ- দেয়া হয়েছে। পঞ্চম অভিযোগ, কেশবপুরের মহাদেবপুর গ্রামের মিরন শেখকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন এবং ওই গ্রামে অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠন। এই অভিযোগে সাখাওয়াত, ইব্রাহিম, মো: এ আজিজ , আবদুল আজিজ ও আবদুল খালেককে ১৫ বছর করে কারাদ- দেয়া হয়েছে।
গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। সাখাওয়াতসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০০৯ সালে যশোরে মামলা করা হয়। প্রসিকিউশনের আবেদনে ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। পরে ২৯ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরখান থেকে সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২০১৪ সালের ১ এপ্রিল থেকে এ মামলায় তদন্ত শুরু করে গত বছরের ১৩ জুন তা শেষ হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সাবেক এমপি সাখাওয়াতের মৃত্যুদন্ড
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ