পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : মানবহির্ভূত হওয়ার কারণে ৪৪টি ওষুধের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
গতকাল (বুধবার) অধিদফতরের সভাক্ষকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। সম্প্রতি উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক ২০টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সকল প্রকার ওষুধ এবং ১৪টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সকল প্রকার এন্টিবায়োটিক উৎপাদন বন্ধকরণ প্রসঙ্গে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের পরিচালক মো. রুহুল আমিন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন পরিচালক মো. গোলাম কিবরিয়া, ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক সৈকত কুমার কর, এসএম সাবরীনা ইয়াসমিন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনের মূল প্রবন্ধে জানানো হয়, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক ২০টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সকল প্রকার ওষুধ উৎপাদন বন্ধের যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, তার মধ্যে ১৩টির লাইসেন্স বাতিল এবং ১৬টির কারখানা সিলগালা করা হয়েছে। তালিকার ৩টি প্রতিষ্ঠানের কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়া উচ্চ আদালতের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে ১৪টি প্রতিষ্ঠানের সকল প্রকার এন্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধের উৎপাদন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং তাদের ওষুধ বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানের কোন ওষুধ বাজারে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সকল বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ওষুধ তত্ত্বাবধায়কদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে বলেও জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত তিন মাসে ৫ হাজার ৮৩৮টি দোকান এবং ১৪০টি কারখানা পরিদর্শন করা হয়। এ সময় ৫০১টি ওষুধের নমুনা পরীক্ষার জন্য ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে আসে। এর মধ্যে ৬টি মানবহির্ভূত হিসেবে চিহ্নিত হয়। বিগত তিন মাসে ড্রাগ কোর্টে ১১টি মামলা এবং মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১৭২টি মামলা দায়ের করা হয়। পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৯০ লাখ ৫৪ হাজার টাকা জরিমানা হিসেবে আদায় করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।