পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভিসা জটিলতায় অবশেষে সিঙ্গাপুরে ফিরে গেলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের করোনা কিট উদ্ভাবন দলের প্রধান সেই বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল। বাংলাদেশে জন্ম নেয়া এই বিজ্ঞানী সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। গতকাল রোববার তিনি ঢাকা ছাড়েন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে জানানো হয় ভিসাসংক্রান্ত কিছু জটিলতার কারণে ড. বিজন কুমার শীল সিঙ্গাপুর ফিরে যাচ্ছেন। তবে গণস্বাস্থ্যের করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেন কিটের উন্নয়ন এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিভিন্ন গবেষণায় ড. বিজন কুমার শীলকে প্রয়োজন। এজন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তার ভিসা প্রাপ্তিতে যে সমস্ত কাগজপত্র প্রয়োজন সব বিষয়ে সহযোগিতা করা হবে। আশা করছি শিগগিরই তিনি আবার দেশে ফিরে আসবেন।
সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব পাওয়া বিজন শীল ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। তিনি গণবিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান হিসেবে শিক্ষকতা করছিলেন। এর মধ্যে করোনা সংক্রমণ শুরু হলে তিনি তা শনাক্তে অ্যান্টিজেন্ট ও অ্যান্টিবডি কিটের উদ্ভাবন করেন। তবে তা এখনো অনুমোদন দেয়নি সরকার। গত জুলাইয়ে তার ওয়ার্ক ভিসার মেয়াদ শেষ হয় । তারপর ওয়ার্ক ভিসার জন্য আবেদন করলেও সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো উত্তর দেয়া হয়নি। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়ে তিনি দেশ ছাড়লেন।
বিজন শীল নাটোরের বনপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। এর আগে ১৯৯৯ সালে ছাগলের মড়ক ঠেকানো ভ্যাকসিন, ২০০২ সালে ডেঙ্গু ও ২০০৩ সালে সার্চ ভাইরাসের র্যাপিড টেস্টের কিট উদ্ভাবন করে আলোচনায় আসেন। চলতি মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরুতে গণস্বাস্থ্য যখন র্যাপিড কিট আবিষ্কারের ঘোষণা দেয় তখন সামনের সারিতে ছিলেন ড. বিজন কুমার শীল। তিনি কোভিড-১৯ নিয়ে বিভিন্ন বক্তব্য ও পরামর্শ দিয়ে আলোচনায়ও আসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।