পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বদান্যতায় নবজাতককে কোলে ফিরে পেলেন গাইবান্ধার মা আঞ্জুলা বেগম। সন্তান জন্মদানের পর ক্লিনিকের ১৬ হাজার টাকা বিল পরিশোধ করতে বিক্রি করে দেন নাড়িছেঁড়া ধনকে। এ বিষয়ে শনিবার একটি ইংরেজী জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিষয়টি দৃষ্টি কাড়ে আইনমন্ত্রীর। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করেন গাইবান্ধার জেলা প্রশাসকের (ডিসি) সঙ্গে। সন্তান বিক্রি বাবদ ১৬ হাজার টাকা ক্রেতাকে ফেরত দিয়ে সদ্যজাত শিশুটিকে মা আঞ্জুলা বেগমের কোলে ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করতে বলেন। গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলা থেকে নবজাতটিকে উদ্ধার করেন জেলা প্রশাসক। সন্তান উদ্ধারের পর গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হতদরিদ্র আঞ্জুলাকে দেয়া হয়েছে ২০ কেজি চাল, কেজি ডাল, ২ লিটার সয়াবিন,একটি শাড়ী,একটি লুঙ্গি এবং নগদ ২ হাজার টাকা। আনিসুল হকের পক্ষ থেকে ডিজির মাধ্যমে পরিশোধ করা হয় ক্লিনিকের ১৬ হাজার টাকা।
গতকাল রোববার আঞ্জুলা বেগমের বোনের ছেলে ছানারুল ইসলাম জানান, আঞ্জুলার স্বামী শাহজাহান মিয়া ছোট বেলায় গাইবান্ধার সদর উপজেলার সোলাগাড়ী গ্রামে আসেন। পেশায় দিনমজুর। বিয়ে করেন আঞ্জুলাকে। ২ ছেলে ও ১ মেয়ে তাদের। নিজের জমি-জিরাত নেই। অভাবে কাটে স্ত্রী-সন্তানসহ পাঁচ জনের সংসার। গাইবান্ধার যমুনা ক্লিনিকের মালিক ফরিদুল হক সোহেল জানান, গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাত সোয়া বারটার দিকে চতুর্থ সন্তান জন্মদানের জন্য আঞ্জুলা বেগম ক্লিনিকে ভর্তি হন। রাত একটার দিকে সিজারের মাধ্যমে তিনি পুত্র সন্তান জন্ম দেন। অনেক চেষ্টায় বিল পরিশোধ করে ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ক্লিনিক ছাড়েন আঞ্জুলা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।