পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দায়িত্ব পালনকারী চিকিৎসকরা নিরাপদ আবাসনের দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় করোনা রোগীদের সেবা দেয়া সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন। এই দাবিতে তারা ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। গতকাল তারা এই অল্টিমেটাম দেয়। এ সময় নিরাপদ আবাসনের দাবিতে করোনা রোগীদের সেবায় নিযুক্ত চিকিৎসকরা হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া, উপপরিচালক ডা. মামুন মোর্শেদ ও মেডিক্যাল কলেজের ভাইস-প্রিন্সিপাল ও কোভিড ইউনিটের সমন্বয়ক প্রফেসর ডা. শাহাদাৎ হোসেন রিপনের কক্ষ ঘেরাও করেন।
পরিচায় প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চিকিৎসক জানান, আমাদের কোনও আবাসনের ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ করতে পারেনি। অথচ দৈনন্দিন দায়িত্বপালন শেষে বাসায় ফিরতে হবে। একাধিক চিকিৎসকের পরিবারের একাধিক সদস্য আমাদের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছেন। অনেক চিকিৎসকের পরিবারের সদস্যরা এভাবে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। এরপরও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এভাবে আমাদের পরিবারের সদস্যদের ঝুঁকিতে ফেলতে পারি না। তাই কর্তৃপক্ষকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি। এর ভেতরে কোয়ারেন্টিনের কোনও সমাধান না হলে, আমরা করোনা ইউনিটে আর ডিউটি করবো না। তবে হাসপাতালের স্বাভাবিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাব।
এ প্রসঙ্গে শহীদ সোহারাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ভাইস-প্রিন্সিপাল ও করোনা ইউনিটের সমন্বয়ক প্রফেসর ডা. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, এমনিতেই লোকবল কম। তারপর করোনার পাশপাশি সাধারণ রোগীদের চিকিৎসাও চলছে। যেহেতু কিছু চিকিৎসক করোনা চিকিৎসায় নিযুক্ত তাই তাদের নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা থাকা দরকার। কিন্তু মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বাস্থ্যকর্মীদের হোটেলে থাকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। তাই বাধ্য হয়ে তাদের বাসায় থাকতে হচ্ছে। এতে তাদের পরিবারের সদস্যরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে। তিনি বলেন, চিকিৎসকদের বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানাব। পাশাপাশি অন্যান্য হাসপাতালে কি ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে সেটি দেখে পরবর্তীতে করণীয় নির্ধারণ করার চেষ্টা করবো।
প্রসঙ্গত, গত ১২ এপ্রিল রাজধানীর ছয় হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীদের সেবায় যুক্ত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকার জন্য ১৯টি হোটেল নির্ধারণ করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। কিন্তু গত ২৯ জুলাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান স্বাক্ষরিত পরিপত্র অনুযায়ী করোনা রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের আবাসিক হোটেলের সুবিধাও বাতিল করেন। পরিপত্র অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকার মধ্যে দায়িত্ব পালনকারী একজন চিকিৎসক দৈনিক দুই হাজার টাকা এবং ঢাকার বাইরে এক হাজার ৮০০ টাকা, একজন নার্স ঢাকার মধ্যে এক হাজার ২০০ ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে এক হাজার টাকা এবং একজন স্বাস্থ্যকর্মী ঢাকার মধ্যে ৮০০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৬৫০ টাকা ভাতা পাবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।