পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্পোর্টস ডেস্ক : রিও অলিম্পিকের তৃতীয় দিনের সবচেয়ে বড় ঘটনা কোনটি? ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোক সাঁতারে মারফির অলিম্পিক রেকর্ড? নাকি এফিমোভাকের কান্না? নাকি এককের পর টেনিসের দ্বৈত লড়াই থেকেও বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচের বিদায়? রিওবাসীদের এখন এসব নিয়ে এখন ভাবতে বয়েই গেছে। তারা এখন ব্যস্ত তাদের নতুন নায়ক রাফয়েলা সিলভাকে নিয়ে, যার হাত ধরে স্বাগতিকরা পেয়েছে এবারের আসরের প্রথম স্বর্ণ পদক।
ছেলেদের ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোক ইভেন্টে গত ৫ আসর ধরে স্বর্ণ হাতছাড়া করেনি যুক্তরাষ্ট্র। তারই ধারাবাহিকতায় এবারো এই ইভেন্টে জিতেছে সেদেশেরই প্রতিযোগী রায়ান মারফি। তবে এবারের স্বর্ণ বিশেষ মহত্ত্ব লাভ করেছে অলিম্পিক রেকর্ড গড়ায়। আর ইউলিয়া এফিমোভার কান্নাটা কোন স্বর্ণ জয়ের আবেগে নয়, দর্শকদের দুয়োয়। অলিম্পিকে অংশ নেওয়াই ছিল তার অনিশ্চিত। ডোপিংয়ের অভিযোগে রাশিয়ান এই সাঁতারু ছিলেন সাময়িক নিষিদ্ধ। অলিম্পিক শুরুর আগে চালান আইনি লড়াই। সেই লড়াইয়ে জিতেই আসেন রিওতে। কিন্তু রিও’র দর্শকরা মেনে নিতে পারেননি এফিমোভাকে। ২৪ বছর বয়সী এই সাঁতারুকে পুলে নামার আগেই তাই শুনতে হয় দর্শকদের দুয়ো। এফিমোভা চেয়েছিলেন বিজয়ী হয়েই এর জবাব দিবেন। এজন্য যুক্তরাষ্ট্রের লিলি কিংয়ের সাথে সমানে লড়াইও চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠেননি। লিলির কাছেই হারিয়েছেন স্বর্ণ। হারের পর পুলেই কান্নাই ভেঙে পড়েন এফিমোভ।
তবে এফিমোভের এই কান্নার চেয়ে লক্ষ-কোটি মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে দিয়েছে ব্রাজিলের নতুন নায়ক রাফায়েলা সিলভার গৌরবঅশ্রু। বস্তির একজন সাধারণ মেয়ে হয়ে বিশ্বের এক নম্বরধারী প্রতিযোগীকে হারিয়ে অলিম্পিকে স্বর্ণজয় তো আর কম গৌরবের নয়।
‘সিটি অব গড’ খ্যাত ব্রাজিলের প্রাণকেন্দ্র রিও ডি জেনিরোতে জন্ম রাফার। তার এই জন্মস্থানটি হল বিশ্বের ভয়ঙ্কর স্থানগুলোর একটি। এখানেই বেড়ে ওঠেন দশ্যিপনা এই মেয়েটি। ছোটবেলায় সমানে লড়াই করেছেন ছেলে বন্ধুদের সাথেও। সেই মেয়েটি একসময় হয়ে উঠল নামকরা কুস্তিগীর। গত লন্ডন অলিম্পিকেও অংশ নিয়েছিলেন রাফা। কিন্তু প্রতিপক্ষের পা ধরায় ডিসকোয়ালিফাইড হয়ে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যান। এই ঘটনার পর অনেক বঞ্জনা সইতে হয়েছিল তাকে। বর্ণবাদের তীরেও বিদ্ধ হয়েছিলেন সেসময়ের ২০ বছরের তরুণী। রাগে ক্ষোভে শেষ পর্যন্ত প্রিয় খেলাই ছেড়ে দেওয়ার ঘোষনা দেন একসময়। কিন্তু কোচের কথায় আবারো খেলাকে বুকে ধারণ করেন। সেদিনের সেই ক্ষোভকেই হয়তো শক্তিতে পরিণত করে লড়াইয়ে নামেন তিনি। গৌরবের এই দিনে রাফায়েলা সেইসব দুঃখে মোড়ানো দিনের কথা স্বরণ করলেন ভগ্ন কণ্ঠে, ‘মানুষ আমাকে খোঁচা দিত। বলত আমি নাকি বানর, আমাকে নাকি খাঁচাতেই থাকা উচিত। কিন্তু আমি আজ দেখিয়ে দিয়েছি, আমার স্থান খাঁচাতে নয়। আমার স্থান ক্রিড়াজগতে, আমার স্থান জুডোতে।’
সেই ৫ বছর বয়স থেকেই জুডো খেলতেন স্্েরফ মজা হিসেবে। মাঝে মাঝে তাই ছেলে বন্ধুদের সাথেও লড়াইয়ে নামতেন। সেদিনের সেই মেয়েটি আজ ধরা দিলেন ব্রাজিলিয়ানদের গর্বের প্রতীক হয়ে। জুডোর ৫৭ কেজি ওজনশ্রেনীতে বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় মঙ্গোলিয়ার সুমাইয়া দর্সুরানকে হারিয়ে এই গৌরব অর্জন করেন তালিকার ১১ নম্বর খেলোয়াড় রাফায়েলা সিলভা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।