পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে পরিবার ও সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের ঘাতকদের স্বজনরা, যারা দেশে ও বিদেশে অবস্থান করে জঙ্গিবাদে মদদ দিচ্ছে, অর্থায়ন করছে ও জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দিচ্ছে, তাদের ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির নেতারা।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ আয়োজিত ‘রক্তস্নাত আগস্ট, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সমাজের কোনো পরিবারের সন্তান নিখোঁজ আছে কিনা সেটা সমাজকেই বের করতে হবে। জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে পরিবার ও সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
গুলশানের আর্টিজান বেকারিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত জঙ্গি রোহানের পরিবারের প্রতি ইঙ্গিত করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়ার ছেলেটিতো জামায়াত পরিবারের ছেলে না। সে কেন জঙ্গি হবে? কোথায় গলদ? কিসের ব্যর্থতা? মা-বাবার কি করণীয় ছিল। কিন্তু কেন করেনি? সেটা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। এর পাশাপাশি সমাজের যে দায়িত্ব সেটা সমাজের পালন করতে হবে। এ সময় তিনি বলেন, রোহানের কথা আমি জানতে পেরেছি ঘটনার পর সংবাদ মাধ্যমের দ্বারা। তার বাবা ও মা বিষয়টি আমাকে আগে বলেননি। তারা কাকের ডিম খোঁজার মতো ডিম খুঁজে বেড়িয়েছিল।
নিজের জীবনের স্মৃতিচারণ করে নানক বলেন, আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন বিকালে খেলতে মাঠে গেলে মা আমাদের ডেকে বলতেন এই নানক মাগরিবের আজানের আগে ঘরে ফিরিস। কিন্তু এখন মায়েরা ব্যস্ত সিরিয়াল দেখায় অথবা উনিও ফেসবুক দেখছেন। তাই আমাদেরও মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।
একই অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, যারা জঙ্গিবাদে মদদ দিচ্ছে, অর্থায়ন করছে ও জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দিচ্ছে, তাদের ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের ঘাতকদের পরিবারকে খুঁজে বের করতে হবে এবং সেই সঙ্গে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আর আনতে পারলে তাদের বড় ভাইদের ধরতে পারব। জঙ্গিবাদদের মূল লক্ষ বাংলাদেশকে ধ্বংস করা ও অর্থনৈতিভাবে পঙ্গু করা।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সমালোচনা করে কামরুল বলেন, বিএনপির সঙ্গে ঐক্যের বিষয়ে কিছু ব্যক্তি পা-িত্বপূর্ণ কথা বলছেন। এ রকম প-িত ড. মোহর আলী, ড. সাজ্জাদ হোসেনরা ১৯৭১ সালেও ছিল। কিছু প-িত যুগে যুগে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। আজকেও কিছু প-িত আছেন যারা সমালোচনা করে বিভিন্ন কথা বলছেন।
কামরুল বলেন, বিএনপির দলগত কমিটি বাজার কমিটির মতো ৫০২ সদস্যের দেখলাম। তাদের সঙ্গে কিসের ঐক্য? জাতীয় ঐক্য আমাদের হয়ে গেছে। বাংলাদেশ যেভাবে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, তাতে অচিরেই আমরা এ সকল জঙ্গিদের নির্মূল করব।
জঙ্গিবাদ নির্মূলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পৃথিবীর বিভিন্ন দেশকে অনুসরণ করছে দাবি করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ জঙ্গি নির্মূলে যে প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয় বাংলাদেশেও একই প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হচ্ছে। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া নিয়ে দেশের প-িত ব্যক্তিরা সমালোচনা করেন।
গোলটেবিল আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি আখতারুজ্জামান, বাংলাদেশ বিশ^বিদ্যালয় ফেডারেশন সমিতির সাধারণ সম্পাদক এএসএম মাকসুদ কামাল, ইসলামী ঐক্য জোটের সভাপতি মিসবাহুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।