পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অপরিকল্পিত শিল্প এলাকায় আর বিদ্যুৎ সংযোগ দেবে না বিতরণ কোম্পানিগুলো। গতকাল বুধবার বিদ্যুৎ বিভাগে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শিল্প কারখানায় গ্রিডের বিদ্যুৎ ব্যবহারে উৎসাহিত করতেই সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।এজন্য শিল্প পার্কে ৩০ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে স¤প্রতি একটি সমঝোতাও করেছে বিতরণ কোম্পানি।
অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুম বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যুৎ জ্বালানি খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বৈঠকে বিদ্যুৎ সচিব ড. সুলতান আহমেদ, জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিসুর রহমান, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল ও সব বিতরণ কোম্পানির প্রধানরা যুক্ত ছিলেন। এসময় বিতরণ কোম্পানিগুলো নিজেদের শিল্প সংযোগের অবস্থা বৈঠকে তুলে ধরেন। বৈঠকে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, শিল্প কারখানা মালিকদের অন্যতম দাবি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ। যেভাবেই হোক আমাদের গ্রাহককে আস্থায় আনতে এ কাজটি করতে হবে। নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে এ সময় তিনি সকল বিতরণ কোম্পানি প্রধানদের নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, অপরিকল্পিত শিল্প এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ কোনওভাবেই দেওয়া যাবে না। একইসঙ্গে অবৈধ গ্যাস বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দেন তিনি। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, দেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৩ হাজার মেগাওয়াট। এর মধ্যে অন্তত সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট ক্যাপটিভ বিদ্যুতের সংযোগ রয়েছে। যা দিয়েই বড় বড় শিল্প কারখানাগুলো পরিচালিত হয়। জাতীয় গ্যাস গ্রিড থেকে এসব শিল্প প্রতিষ্ঠান গ্যাস সরবরাহ নিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা মেটায়। এক দিকে শিল্পে গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধি অন্যদিকে বিদ্যুৎকেন্দ্র অলস বসে থাকায় বিষয়টি বড় লোকসানের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সংক্রান্ত একটি ঠৈক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে কেবলমাত্র পরিকল্পিত শিল্প এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সম্মতি দেন প্রধানমন্ত্রী। তবে প্রশখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে এক বছরেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখাতে পারেনি বিতরণ কোম্পানি। গত বছর মাঝামাঝি সময়ে গ্রিডের বিদ্যুৎ সরবরাহ করে শিল্প কারখানা চালানোর উদ্যোগ নেয় সরকার। এজন্য শিল্প প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে জ্বালানি বিভাগ। কিন্তু এক বছরে বিতরণ কোম্পানি নিরবচ্ছিন্ন শিল্প বিদ্যুৎ সরবরাহে বিশেষ কোনও উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে পারেনি। এতে উল্লেখযোগ্য ভাবে শিল্প সংযোগ বৃদ্ধি পায়নি।
বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, যেভাবে যেখানে- সেখানে শিল্প কারখানা গড়ে উঠছে তাতে সবখাতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া সম্ভব নয়। এজন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হলে সেখানে এই ব্যবস্থা করা যেতে পরে। এখন সারাদেশে ৯৮টি অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে। এরমধ্যে ৬৯টি সরকারি এবং বাকিগুলো বেসরকারি এসব শিল্প প্রতিষ্ঠান সারাদেশে গড়ে উঠেছে। দেশের সকল এলাকায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নয় এজন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উদ্যোক্তারা রাজধানী ঢাকার আশেপাশে বা বন্দরকে কেন্দ্র করে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনে বেশি আগ্রহী হওয়ায় অনেক শিল্প পার্ক পড়ে রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।