পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। এ কমিটিতে সরকার সমর্থিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি রাখা হলেও বিএনপির কাউকে রাখা হচ্ছে না।
গতকাল (মঙ্গলবার) কমিটি গঠন নিয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে প্রথম বৈঠকে এমন ইঙ্গিত দিলেন জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন। কমিটিতে বিএনপির নেতাকর্মীরা স্থান পাবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ, জাসদ, বাসদসহ মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির দলের কর্মীরাই কমিটিতে স্থান পাবেন।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে ৪১ থেকে ১০১ সদস্যের মধ্যে এই কমিটি গঠন করা হবে। সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধে কমিটি গঠনের জন্য নগরীর ১ থেকে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন জেলা প্রশাসক। এই ১০টি ওয়ার্ডকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কমিটির তালিকা জমা দিতে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করা হবে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মিলে এ কমিটি গঠন করবেন। এরপর সেই কমিটি বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীকে দেখানো হবে। কমিটির সদস্যদের বিষয়ে তাদের ইতিবাচক নিশ্চয়তার পর কমিটি চূড়ান্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালায়ে পাঠানো হবে।
কমিটিতে কারা স্থান পাবে এ বিষয়ে জানাতে গিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, কমিটিতে আওয়ামী লীগ, জাসদ, বাসদসহ মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির দলের কর্মীরা স্থান পাবেন। কমিটির কার্যক্রম কী হবে সে বিষয়ে জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, কমিটির কাজ হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দেয়া। এলাকায় বহিরাগত সন্দেহজনক কাউকে দেখলে, মেসগুলোতে সন্দেহজনক কাজকর্ম হলে, মসজিদে বিভিন্ন সময়ের বয়ানে এ সম্পর্কে কিছু বলা হলে তা জানানো।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র নিছার উদ্দিন আহমেদ (মঞ্জু) ও জোবাইরা নার্র্গিস খান, পঁাঁচলাইশ ওয়ার্ডের কফিল উদ্দিন খান, চান্দগাঁও ওয়ার্ডের মো: সাইফুদ্দিন খালেদ, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবিদা আজাদ প্রমুখ। অন্যদিকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে পাঁচলাইশ থানার মহিউদ্দিন মাহমুদ, বায়েজিদ থানার মোহাম্মদ মহসিন, চান্দগাঁওয়ের সৈয়দ আবু মোহাম্মদ শাহজাহান ও পাহাড়তলীর রণজিৎ বড়ুয়া। এছাড়া বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ নেতারা সভায় যোগ দেন। উল্লেখ্য, জঙ্গি ও সন্ত্রাস মোকাবেলায় সারাদেশে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছিলেন, এ কমিটি হবে সর্বদলীয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।