Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাহাড়িদের অধিকার প্রশ্নে সরকার আন্তরিক নন

প্রকাশের সময় : ১০ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশ্ব আদিবাসী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সন্তু লারমা
স্টাফ রিপোর্টার ঃ সরকার ও প্রশাসন পাহাড়িদের অধিকারের প্রশ্নে আন্তরিক নন বলে অভিযোগ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিশ্ব আদিবাসী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন। বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সন্তু লারমা বলেন, সরকার যে আদিবাসীদের অধিকারের প্রশ্নে আন্তরিক নন তা নানাভাবে নানা যৌক্তিকতার মধ্যমে প্রমাণ করা যায়। তিনি বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের নানা কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি, কাজ করছি। বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের আদিবাসীদের অধিকারের জন্যে কাজ করার কথা কিন্তু তা না করে তারা চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আদিবাসীদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। আমরা এর প্রতিকার চাই। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আদিবাসীরা সারা জীবনই বঞ্চিত হয়েছে, শোষিত হয়েছে; এখনো হচ্ছে। সরকার মুখে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের কথা বললেও বাস্তবে এর প্রয়োগ নাই। হবে কি না তা নিয়েও সংশয় আছে। তাই আমাদের সবাইকে নিজের প্রয়োজনেই সংগ্রামী হতে হবে। সংগ্রাম করেই বেঁচে থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, একটি শোষণমুক্ত সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে দেশ স্বাধীন হলেও আদিবাসীরা শোষণমুক্ত হওয়া তো দূরের কথা আদিবাসী পরিচয়ই তারা পাননি। আমাদের নিজেদের প্রয়োজনে তথা রাষ্ট্রের প্রয়োজনেই আদিবাসীদের মূল্যায়ন করতে হবে, তাদের অধিকার দিতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, আমাদের দেশে এখনও আদিবাসীরা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত। স্বাধীন বাংলাদেশে এখনও তাদের শিক্ষা ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে পারিনি। এটা অত্যন্ত বেদনার ও হতাশার কথা। বৃহত্তর এই জনগোষ্ঠীকে মৌলিক মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রাষ্ট্রের উন্নয়ন সম্ভব না। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, কোন জনগোষ্ঠীর অধিকার হরণ করে কোন রাষ্ট্র শক্তিশালী হতে পারে না। সে রাষ্ট্রটি মাথা উঁচু করেও বিশ্বের দরবারে দাঁড়াতে পারেনা। শুধুমাত্র ভূমি নিষ্পত্তি আইন করেই আদিবাসীদের সমস্যা সমাধান করা যাবেনা। আইনটির যথযথ প্রয়োগও থাকতে হবে।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, খুশী কবির, অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, অধ্যাপক সাদেকা হালিম, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক শক্তি পদ ত্রিপুরা। অনুষ্ঠানের শুরুতে গণসঙ্গীত পরিবেশন করে মাদল ও গিরিসুর শিল্পী গোষ্ঠী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাহাড়িদের অধিকার প্রশ্নে সরকার আন্তরিক নন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ