ক্যাসিনো সম্রাটখ্যাত যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিস্কৃৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে বুকে ব্যথা অনুভব করায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন জানান, সম্রাট মোটামুটি সুস্থ আছেন। তবে তার মাল্টিপল সমস্যা রয়েছে। তার হৃদপিন্ডে বাল্ব লাগানো হয়েছে, রয়েছে ‘রিদম ডিস্টার্বনেস’। চিকিৎসায় ১৫ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহাবুবুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সম্রাটের অবস্থার অবনতি হলে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ তাকে হৃদরোগ ইন্সটিটিউট হাসপাতালের সিসিইউতে স্থানান্তর করেছে। তিনি এখন ওখানেই চিকিৎসাধীন।

ক্যাসিনোবিরোধী বিশেষ অভিযানের ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর চৌধুরী বাড়ি থেকে সহযোগী আরমানসহ সম্রাটকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এরপর তার বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনেও (দুদক) তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সর্বশেষ গত রোববার মানি লন্ডারিং আইনে তার বিরুদ্ধে ১৯৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ এনে আরও একটি মামলা দায়ের করে সিআইডি। সম্রাটের বিরুদ্ধে মোট ৪টি মামালা দায়ের হয়েছে।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানান, সম্রাট ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সালে গ্রেফতারের আগ পর্যন্ত ৩৫ বার সিঙ্গাপুরে, ৩ বার মালয়েশিয়ায়, ২ বার দুবাইতে এবং ১ বার হংকং ভ্রমণ করেছেন। এছাড়া তার সহযোগী এনামুল হক আরমান ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সালে গ্রেফতারের আগ পর্যন্ত ২৩ বার সিঙ্গাপুরে ভ্রমণ করেছেন। সম্রাট ও আরমান অবৈধ অর্থ দিয়ে যৌথভাবে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে।