পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উত্তর জনপদ মূলত কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতির উর্বর ক্ষেত্র। বগুড়া, সান্তাহার, ঈশ্বরদী ও সৈয়দপুর কেন্দ্রীক কিছু কলকারখানার যাত্রা হয় পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরেই। এই সীমিত পরিসরের শিল্পকারখানা গুলো মূলত গড়ে ওঠে ভারত থেকে আসা বিহারী ও শরীফ মুসলিম মুহাজিরদের হাত ধরে।
উত্তরাঞ্চলের বেকারী, বিড়ি, সিগারেট কারখানার প্রায় সবটাই শুরু হয় ভারত থেকে আসা মুহাজিরদের হাত ধরে। রেল যোগাযোগের সূত্র ধরেই বিহারের জামশেদপুর হয়ে বিহারিরা এসে সান্তাহার, ঈশ্বরদী ও সৈয়দপুরে বসতি স্থাপন করায় ওই জায়গাগুলোতে শিল্প কারখানা গড়ে ওঠে। অপরদিকে বগুড়া উত্তরাঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র হওয়ায় এবং এখানকার কিছু বনেদী হিন্দু শিল্প পরিবার এক্সচেঞ্জ অপশনের সুযোগ নিয়ে ভারতে যাওয়ায় অনেক মুসলমান পরিবার বগুড়ায় সেটেল্ড হয়। বগুড়া সেই পাকিস্তান আমলেই শিল্প নগরীর খ্যাতি অর্জনে সক্ষম হয়।
তবে ৯০‘ পরবর্তী মুক্ত বাজার অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে উত্তরাঞ্চলেও শিল্প বিকাশের নবযাত্রার সূচনা হয়। সবকিছুই ভারত থেকে আমদানীর সংষ্কৃতি মুক্ত হয়ে স্থানীয় উদ্যোক্তারা ধানচালের অটোরাইস মিল, আটা ময়দার ফ্লাওয়ার মিল, সরিষা ও রাইস ব্রান ওয়েল মিল, টেক্সটাইল, সিমেন্ট, পেপারমিল, এ্যলোপ্যাথী, হোমিওপ্যাথী, ইউনানি ও আয়ুর্বেদ ওষুধের শত শত কারখানা গড়ে তুলেছেন।
তবে মূলত এগ্রোবেইজড শিল্প গুলোর মধ্যে অটোরাইস ও ফ্লাওয়ার মিল, পোল্ট্রি ও ফিস ফিডের কারখানা গুলো করোনাকালেও তাদের উৎপাদনের চাকা পুরোপুরি সচল রাখতে পারায় এসব কারখানায় কর্মরত হাজার হাজার মানুষ খেয়ে পরে বাঁচার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়নি। বগুড়া, জয়পুরহাট, রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও এলাকার হিমাগার গুলোর শ্রমিকরা করোনাকালেও ঠিকমত বেতন ভাতা পেয়েছে বলে জানিয়েছেন, কোল্ড স্টোরেজ এ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা আলহাজ¦ আবুল কালাম আজাদ।
বগুড়ায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক মানের হোমিও ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ইউনিসন ল্যাবরেটরিজ এর এমডি ডাক্তার নুর মোহাম্মদ জানিয়েছেন, তিনি চীনা মেশিনারিজ ও প্রযুক্তি সহায়তা নিয়ে আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান গড়তে সক্ষম হয়েছেন। তিনি কথা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, বেসরকারি পর্যায়ের বৈধ চীনা সহযোগিতা উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন ও বৈচিত্রময় শিল্পের বিকাশে রীতিমত বিপ্লব সাধন করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিল্পপতি জানান, গত এক দশকে উত্তরাঞ্চলে চীনা প্রযুক্তিতে প্রতিষ্ঠিত শিল্প কারখানা গুলোই মূলত করোনাকালে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। এর আগে ভারতীয় প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত সিমেন্ট ও টেক্সটাইল মিল ফলোআপ সাপোর্টের জন্য পড়ে আছে। যে গুলো আদতেই আর চালু করা সম্ভব হবে কিনা তা’ বলা সম্ভব নয়।
উত্তরাঞ্চলের শিল্পোদ্যোক্তারা প্রসঙ্গত বলেন, করোনা প্রতিকূলতার মধ্যে যেসব শিল্পকারখানার মালিক ঝুঁকি নিয়ে তাদের শিল্প কলকারখানা চালু রেখে অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন, তাদের ব্যাপারে সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুক্তি সংগত ও বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা যায় কিনা ভেবে দেখা উচিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।