Inqilab Logo

বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সংসদ এলাকায় নিষিদ্ধ আতর আলী

প্রেসিডেন্টকে নিয়ে অসত্য বক্তব্য

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদকে নিয়ে অসত্য বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে সংসদ সচিবালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আতর আলীকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির সাবেক সভাপতি আতর আলীকে একই কারণে সংসদ ভবন এলাকায় নিষিদ্ধও করা হয়েছে। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সংসদ সচিবালয়ের অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মচারী হয়েও রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিকে নিয়ে ‘অসত্য’ বক্তব্য দেয়ায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গত ১৭ অগাস্ট সংসদের শপথ কক্ষে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
কর্মচারীদের পক্ষ থেকে আতর আলী সেখানে তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ স্পিকার থাকার সময় ‘এ ধরনের অনুষ্ঠান হয়নি। সাবেক সভাপতি আতর আলী বলেন, ওই বক্তব্য দেওয়ার কারণে আমাকে সংসদ এলাকায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যেহেতু আমাকে যেতে নিষেধ করা হয়েছে গেছে, এজন্য আমি এখন আর সংসদ সচিবালয় যাই না। তবে কারণ দর্শানোর নোটিস পাওয়ার পরদিনই আমি জবাব দিয়েছি। সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
জানা গেছে, গত ৬ সেপ্টেম্বর সংসদের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ খালেদুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয় আতর আলীকে। নোটিসে বলা হয়, আপনি মোহাম্মদ আতর আলী বিগত ১৭ আগস্ট ২০২০ খ্রিস্টাব্দ তারিখে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় আয়োজিত আলোচনা সভা দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে অসত্য বক্তব্য প্রদান করেন।
যেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রের সকল ব্যক্তির ঊর্ধ্বে স্থান লাভ করেন, কোনো ব্যক্তির পক্ষে মহামান্য প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে প্রকাশ্যে কোনো অসত্য বক্তব্য প্রদান দেশের সংবিধান পরিপন্থি। নোটিসে বলা হয়, যেহেতু আপনি মহামান্য প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে অসত্য বক্তব্য প্রদান করেছেন যা একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে অনুচিত ও যেহেতু আপনার উপরোক্ত আচরণ একজন সরকারি কর্মচারীদের জন্য অশোভনীয় আচরণ এবং সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা পরিপন্থি, যা জাতীয় সংসদ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা মোতাবেক অসদাচারণ হিসেবে গণ্য, সেহেতু আপনাকে জাতীয় সংসদ সচিবালয় কর্মচারী কর্মকর্তা ও কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা ২০০৫ এর ৩ এর ক ধারায় অভিযুক্ত করে কেন উক্ত বিধিমালা অধীনে যথোপযুক্ত দন্ড প্রদান করা হবে না সে বিষয়ে এ নোটিস প্রাপ্তির তিন কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শনের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল। চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতির সাবেক সভাপতি আতর আলী সংসদ সচিবালয়ে সংসদ নেতার দপ্তরে কর্মরত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিষিদ্ধ-আতর-আলী

১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ