Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪, ১৩ আষাঢ় ১৪৩১, ২০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ফেল্পসের ইতিহাস, ইতিহাসে ফেল্পস

প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : অলিম্পিক মানেই নতুন কিছু। এই চ্যালেঞ্জ যতটা আয়োজকদের জন্য, ঠিক ততটাই অ্যাথলেটদেরও। নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার স্পৃহা গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের মাহাত্ম্য বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে। এই যেমন ৩১তম আসরের দিন গেছে মাত্র ৩টি। এরই মধ্যে পুরনোগুলো ভেঙে বইয়ে ঢুকেছে নতুন বেশ কিছু রেকর্ড। যুক্তরাষ্ট্রের মাত্র ১৯ বছর বয়সী ভার্জিনিয়া থ্রেশারের হাতে উঠেছে এবারের প্রথম অলিম্পিক স্বর্ণপদক। তার পর থেকে ২ দিনেই নিষ্পত্তি হয়েছে ১৯টি স্বর্ণের লড়াই। ফেল্পসের ইতিহাস গড়ার দিনে নিজেরা পিছিয়ে থাকে কি করে যুক্তরাষ্ট্র! ১২টি পদক (৩টি স্বর্ণ, ৫টি রৌপ্য ও ৪টি ব্রোঞ্জ) নিয়ে তালিকার শীর্ষে আছে মার্কিনীরা। ৩টি স্বর্ণ, ২টি রৌপ্য ও ৩টি ব্রোঞ্জ মোট ৮টি পদক নিয়ে তাদেরই পরে আছে চীন। তিনে থাকা অস্ট্রেলিয়ার ঝুলিতে ৩টি করে স্বর্ণ ও ব্রোঞ্জ মোট ৬ পদক। তবে এতগুলো পদকের লড়াইকে ছাপিয়ে গতকাল দিনটি একান্তই নিজের করে নিয়েছেন শেষ বারেরমত অলিম্পিকের পুলে নামা সাঁতার কিংবদন্তি মাইকেল ফেল্পস।
পদক জয়ের রেকর্ডগুলো অনেক আগেই নিজের করে নিয়েছিলেন তিনি। নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ১৮টি অলিম্পিক গোল্ড! মাইকেল ফেল্পস গতকাল সেটিকে নিয়ে তুললেন আরো উচ্চতায়। যুক্তরাষ্ট্রের এই সাঁতারু রিও গেমসের নিজের প্রথম স্বর্ণ পদকটি পেয়েছেন সতীর্থদের সঙ্গে ৪ঢ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল রিলেতে। ক্যারিয়ারের শেষপ্রান্তে এসে ৩১ বছর বয়সী ফেলপসের ঝুলিতে এখন অলিম্পিকের ১৯টি সোনালী মেডেলের সাথে ২টি রুপা ও ২টি ব্রোঞ্জ নিয়ে মোট ২৩টি পদক! সব পদক মেলালে ১৮টি পদক নিয়ে ফেল্পসের পরই আছেন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের জিমন্যাস্ট লারিসা লাতিনিনা।
আর সোনার পদকের হিসেবে তো তার ধারে কাছেই কেউ নেই। ৯টি করে সোনা লাতিনিনা, ফিনল্যান্ডের দূরপাল্লার দৌড়বিদ পাভো নুরমি, যুক্তরাষ্ট্রের সাঁতারু মার্ক স্পিৎস ও স্প্রিন্টার কার্ল লুইসের। শুধু তাই নয়, প্রথম সাঁতারু হিসেবে অলিম্পিকের চারটি আসরে স্বর্ণ জেতা অ্যাথলেট কেবল মাত্র ফেল্পসই। আর টানা পাঁচ অলিম্পিকে সাঁতরাচ্ছেন, এও তো অবিশ্বাস্য কীর্তি!
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোনার খনিগুলোর একটি যেন হয়ে উঠেছেন তিনি! অলিম্পিকে ১৯টি সোনার পদক, ভাবা যায়! গত অলিম্পিকেই অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেচুরে নিজের নামের পাশে ১৮টি সোনার পদক যুক্ত করেছিলেন। গতকাল ৪*১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতারে আরও একটি পদক জিতলেন ফেল্পস। এটি অবশ্য দলগত পদক। ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল রিলের হিটে ছিলেন না ফেলপস, ফাইনালে পুলে সতীর্থদের সঙ্গে তাকে আসতে দেখেই স্বাগত জানান দর্শকরা। য্ক্তুরাষ্ট্রের হয়ে শুরু করেন ড্রেসেল। প্রথম লেগ শেষে এগিয়ে ছিল লন্ডন অলিম্পিকের সোনা জেতা ফ্রান্স। কিন্তু দ্বিতীয় লেগে ফেল্পস পুলে ঝাঁপিয়ে এগিয়ে দিলেন দলকে। রায়ান হেল্ড আর ন্যাথান অ্যাড্রিয়ান লিড ধরে রাখেন। যুক্তরাষ্ট্র সময় নেয় তিন মিনিট ৯.৯২ সেকেন্ড। রুপা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ফ্রান্সকে। অস্ট্রেলিয়া দল পায় ব্রোঞ্জ।
২০০৪ অলিম্পিকে ছয়টি, ২০০৮-এ আটটি, ২০১২ অলিম্পিকে চারটি সোনা জেতেন ফেল্পস। এরপর চলে যান অবসরে। যাওয়ারই কথা। আর কী জিতবেন, কীই-বা বাকি আছে! কিন্তু ক্ষুধা যে মেটেনি, তা অনুভব করতেই আবার ফিরে আসেন। ভাগ্যিস ফিরেছেন। নামের পাশে যে আরও একটি সোনা যুক্ত হলো। ফেল্পসের ১৯তম স্বর্ণ, বিশ্ব রেকর্ড গুড়িয়ে লোডেকি, অ্যাডাম পিটির স্বর্ণপদক, কসোভোর কলমন্দির, সুস্ট্রোমের ইতিহাস, হাতছানি আছে আরো কতকগুলোর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফেল্পসের ইতিহাস
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ