Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ পার্ক উদ্বোধন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য এবং নিজস্ব ইকোসিস্টেম অক্ষুন্ন রেখে গুলশান-২ এ স্থাপিত বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ পার্ক উদ্বোধন করা হয়েছে। এ পার্কটি রাজধানীর গুলশান এলাকার ফুসফুস হিসেবে বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন।

গতকাল ঢাকা উত্তর সিটিকর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আকিুল ইসলাম এ পার্কের উদ্বোধন করেন। ডিএনসিসির ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিাত ছিলেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশ, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদ‚ত আর্ল রবার্ট মিলার, আওয়ামী লীগ দলীয় সংরক্ষিত সংসদ সদস্য নাহিদ ইজহার খান, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মমকর্তা মো. সেলিম রেজা, স্থাপতি ইকবাল হাবিব প্রমুখ।

মরহুম মেয়র আনিসুল হক গুলশান-২ এর ৮৩ নং রোডে স্থাপিত এই পার্ক দখলমুক্ত করে পুনসংস্কার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তারই অংশ হিসেবে ২০১৮ সালের ১৫ মার্চ পার্কের কাজ শুরু হয় আর শেষ হয় ২০২০ সালের ১৫ মার্চ। ৯ একর আয়তনের এই পার্ক স্থাপনে ব্যয় হয়েছে ১৬ কোটি। বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্কটি ঢাকা শহরের গুলশান এলাকায় অবস্থিাত দ‚তাবাস এলাকা সংলগ্ন একটি কমিউনিটি পার্ক। এটি গুলশান ট্যাংক পার্ক নামেও পরিচিতি।

বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্কে প্রায় ১৭০০টি গাছ আছে। এই গাছগুলো অক্ষুন্ন রেখেই পার্কের কাজ করা হয়েছে। পার্কে ইনডোর জিমনেসিয়াম রয়েছে। নির্ধারিত পেমেন্টের মাধ্যমে ইনডোর জিমনেসিয়াম ব্যবহার করা যাবে, যাদের সামর্থ্য নেই তারা আউটডোর জিম ব্যবহার করবেন। পার্কের ভেতর কফি হাউজ আছে। এখানে বার বি কিউ পার্টি করার ব্যবস্থা থাকবে। পার্কের ভেতরে মিউজিক্যাল ফাউনটেইন (ঝরনা) আছে। কারো মন ভালো না লাগলে পার্কে গেলে ফাউনটেইন চলবে মন ভালো হয়ে যাবে।

পার্কটিতে বঙ্গবন্ধু কর্নারসহ একটি লাইব্রেরি রয়েছে। এছাড়া ৩টি পুকুরঘাট রয়েছে। জলাধারের চারপাশে ৩টি দর্শক ডেক সমৃদ্ধ একটি হাঁটার পথ নির্মাণ করা হয়েছে। জলধারারের উত্তর পশ্চিমের ঢালে একত্রে ৪০০ মানুষের বসার সুবিধা সম্বলিত ঘাসে ঢাকা সবুজ মুক্তমঞ্চ (এমপিথিয়েটর) নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও বাস্কেটবল গ্রাউন্ড ও ব্যাডমিন্টন কোর্ট রয়েছে। পার্কটিকে সুন্দরভাবে ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে সিসিটিভি কন্ট্রোল রুম স্থাাপন করা হয়েছে।

উদ্বোধনী বক্তব্যে পার্ক, খেলার মাঠ দখলকারীদের কড়া মেসেজ দিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, অনেকে পার্ককে নিজেদের সম্পত্তি মনে করেন। পার্ক অন্য কারো সম্পত্তি না। এটি সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি সুতরাং এখানে অন্য কেউ দখল করে থাকতে পারবে না। কেউ কেউ পার্কগুলো দখল করে রেখেছেন, তাদের বলছি আপনারা ভালোয় ভালোয় চলে যান, না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা পার্ক উদ্ধার করবই।

রীভা গাঙ্গুলী দাশ বলেন, খুবই ভালো লাগছে পার্কটি দেখে। সব সময় এই রাস্তা দিয়ে যাই-আসি। এরকম এলাকায় একটি গ্রিন স্পেস হওয়াটা খুব দরকার। কোভিড-১৯ এর কারণে আমরা খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। তবে কোভিড-১৯ আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কাজ করতে হবে। সুস্বাস্থ্যের জন্য পার্ক খুবই দরকার। পার্ক থাকলে কেউ ঘরে বসে থাকবে না। পার্কে আসলে নিজেদের মধ্যে সম্পর্কটা বাড়ে। সবাই পারিবারিকভাবে উপভোগ করা যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পার্ক-উদ্বোধন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ