Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সোনালি আঁশে রঙিন স্বপ্ন

উৎপাদন খুবই ভালো : স্বর্ণযুগ ফেরার উজ্জ্বল সম্ভাবনা, মূল্যেও স্বস্তি

মিজানুর রহমান তোতা | প্রকাশের সময় : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০৩ এএম

সোনালী আঁশ পাটের স্বর্ণযুগ ফিরে আসার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে। মাঝেমধ্যে রোদ বৃষ্টি ও পরিষ্কার আকাশ পাট আবাদ ও উৎপাদনে সহায়ক। উপযোগী আবহাওয়ায় পাটের গ্রোথ ও দ্রæত বৃদ্ধি ঘটে। এবার আবাদ ও উৎপাদনে ছিল অনুক‚ল আবহাওয়া। পাট হৃষ্টপুষ্ট ও অনেক লম্বা হয়েছে। বন্যা ও বৃষ্টিতে নদী, খাল-বিল পানিতে টইটুম্বর থাকায় পাট পচনে ন্যুনতম অসুবিধা হয়নি। রং ও গুণগত মান ভালো হয়েছে। মূল্যেও স্বস্তি চাষিদের। গতবারের তুলনায় অনেক বেশি মূল্য পাচ্ছেন। গ্রাম ও মাঠে চাষিদের এখন ফুরফুরে মেজাজ। পাট বিক্রি করে কী কী করবেন চাষিরা সেই পরিকল্পনা আঁটছেন। তারা রঙিন স্বপ্নে বিভোর। কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানান, পাট উৎপাদনে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। এবারের সার্বিক চিত্র জানান দিচ্ছে বহুদিন পর সোনালি আঁশের স্বর্ণযুগ ফিরে আসার সম্ভাবনা হয়েছে উজ্জ্বল।
কৃষি সম্প্রসারণের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল মুঈদ বুধবার দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, সারাদেশের সবখানেই এবার পাটের উৎপাদন হয়েছে আশানুরূপ। নতুন পাট বাজারে উঠতে শুরু করেছে। চলতি মৌসুমে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ লাখ ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে। আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে হয়েছে ৭ লাখ ২৭হাজার হেক্টর। তাতে প্রায় ৭০ লাখ বেল পাট উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তার কথা, মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে দেখেছি পাটের ফলন ও মূল্য ভালো পেয়ে চাষিরা অত্যন্ত খুশি। তার কথা, পাটের বহুমুখী ব্যবহার হচ্ছে দেশে বিদেশে। পরিবেশবান্ধব ন্যাচারাল ফাইবারের চাহিদা বহুগুণে বেড়েছে। সেজন্য কদর বাড়ছে সোনালী আঁশের।
যশোরের চৌগাছা হুদাপাড়ার আমজাদ হোসেন বিশ্বাস, নড়াইলের সত্যেন্দ্রনাথ, কলারোয়ার ইসলামপুরের ইউসুফ আলী ও ফরিদপুরের নগরকান্দার আউয়ুব আলীসহ কয়েকজন পাটচাষি জানালেন, গতবারের তিক্ত অভিজ্ঞতায় প্রথমদিকে শঙ্কা ছিল দাম নিয়ে কিন্তু এখন ভালো দাম পাচ্ছি। পাটের ফলনে ও মূল্যে আমরা সন্তুষ্ট। আসলেই এবার পাটে স্বস্তি এনে দিয়েছে চাষিদের। গতবার ১২শ’ টাকা মণ দরে পাট বিক্রি হয়েছে। এবার তার দ্বিগুণেরও বেশি মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা জানান, প্রতিমণ পাট সর্বনি¤œ ২হাজার ৩শ’ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ মূল্য প্রায় ৩ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক পার্থ প্রতিম সাহা বললেন, পাটের ফলন হয়েছে প্রতিবিঘায় গড়ে ১০ মণ। উৎপাদন হেক্টরে ২দশমিক ৫৭ মেট্রিক টন। পাটের উৎপাদন ভালো হওয়ায় জুট মিল সংশিষ্ট ছাড়াও জুট মিলে ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ ও কাঁচা পাট সরবরাহকারী, শিল্পশ্রমিকসহ সাধারণ শ্রমিক, ফিনিসড জুট গুডস রফতানী, পরিবহন ও বাজারজাতকরণসহ বহুমুখী কর্মকান্ডের সাথে বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষাভাবে জড়িত-তারাও খুব খুশি হয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ