পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ওই দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। দেশের উত্তরের শেষ প্রান্ত পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার মহানন্দা নদীর তীর থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার লোভ সামলাতে পারেন না পর্যটকরা। বর্ষা মৌসুম ছাড়া অন্যান্য সময় কাঞ্চনজঙ্ঘা হাতছানি দিয়ে পর্যটকদের ডাকে। বিশেষ করে শীত-বসন্তে কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ যেন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এই অপরূপ দৃশ্য দেখার জন্য চোখ আটকে রাখতে পারে না দুই দেশের সীমান্ত।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কাছাকাছি যেতে হয় না কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ দেখতে। কিন্তু এবার সীমান্ত নয়, প্রবেশ ফি নির্ধারণের মাধ্যমে পর্যটকদের চোখ আটকে দেয়া হয়েছে। দেশের ৬৩ জেলার পর্যটকরা শীত-বসন্তে ছুটেন পঞ্চগড়ের দিকে। তেঁতুলিয়া উপজেলার পিকনিক কর্ণার হচ্ছে সবার গন্তব্য।
জানা গেছে, এবার থেকে দেশি-বিদেশি পর্যটককে প্রবেশ ফি দিয়েই তেঁতুলিয়া উপজেলার পিকনিক কর্ণারে যেতে হবে। পিকনিক কর্ণারে প্রবেশ করতে না পারলে দু’চোখ জুড়িয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ দেখা যাবে না।
তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রশাসন দুই ধাপে পিকনিক কর্ণারের প্রবেশ ফি নির্ধারণ করেছে। একটি হচ্ছে পিক এবং অপরটি অফপিক সিজন। উপজেলা প্রশাসনের কাছ থেকে প্রবেশ ফি আদায় করার দায়িত্ব নিয়েছে ইজারাদার। গত ১৯ আগস্ট উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন তেঁতুলিয়া পিকনিক কর্ণার উন্নয়ন কমিটির আহŸায়ক ও উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাসুদুল হক।
জানা গেছে, পর্যটকদের প্রবেশ ফি’র পাশাপাশি যানবাহন পার্কিং ফি দিতে হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে গত ১৯ আগস্ট ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে তেঁতুলিয়া উপজেলা সদরের সীমান্তের ‘মহানন্দা নদী’ সংলগ্ন পিকনিক কর্ণারে পর্যটকরা বিনা মূল্যে প্রবেশ এবং ভ্রমণ করতেন।
‘টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া’ এই প্রবাদের বহু পরিচিত তেঁতুলিয়ায় সারা বছর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার পর্যটকের আগমন ঘটে। দীর্ঘদিন পর্যটকরা বিনামূল্যে উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত তেঁতুলিয়া পিকনিক কর্ণার বা বিনোদন কেন্দ্রটি ব্যবহার করে আসছিলেন।
তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, সারাদেশের বিনোদন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। আমরাও আমাদের এই পিকনিক কর্ণারটি খুলে দিয়ে ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করি। সর্বোচ্চ দরদাতাকেই ইজারা দেয়া হয়েছে। পিকনিক কর্ণারটির রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নমূলক কাজের জন্য প্রবেশ ফি’র উপর উপজেলা নির্বাহী অফিস কার্যালয় শর্তসাপেক্ষে ইজারা দিয়েছে। তাই এই পিকনিক কর্ণারের উন্নয়ন ও সঠিক ব্যবহার এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আগত পর্যটকদের নির্ধারিত ফি গুণতে হবে। আর তা ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।