পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মেজর (অব.) সিনহা হত্যার বিষয়টি আদালতের নির্দেশে তদন্তাধীন। তাৎক্ষণিকভাবে আমরা একটা তদন্ত করেছিলাম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি এ রিপোর্ট পর্যালোচনা করবে। যদি আদালত চায় আমরা দেব। তবে প্রতিবেদন নিয়ে পত্রিকায় কী এসেছে, তা কতটা ঠিক আমার জানা নেই। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
তিনি আরো বলেন, আদালতের নির্দেশনায় যে তদন্ত চলছে তা শেষ হওয়ার আগেই এটা পত্রিকায় কীভাবে প্রকাশ হলো, সেটা আমার জানা নেই। যে প্রকাশ করেছে ও তথ্য সরবরাহ করেছে তারা কাজটি সঠিক করেনি। এ বিষয়টি আমরা ক্ষতিয়ে দেখছি। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে আমরা তা দেখব। এ বিষয়টি নিয়ে কোর্টে তদন্ত চলছে। কাজেই এখানে আমরা কোনো রকমের মন্তব্য করবো না, এটা আগেই বলেছি। আমরা এটাও বলেছি কোর্ট যদি এই রিপোর্ট চান তাহলে আমরা কোর্টকে দেব। যাতে নিরপেক্ষ একটি প্রতিবেদন বিচারকদের কাছে যায়। সেজন্য যত ধরনের প্রচেষ্টা আমরা সেটা নেব। বর্তমানে কোর্টের নির্দেশে র্যাব তদন্ত করছে। তাদের প্রতিবেদনের আগে কোনো রিপোর্ট বের হয়ে সেই তদন্তকে প্রভাবিত করুক এটা আমরা চাই না। এটা বিচারকরাও চান না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স¤প্রতি আমাদের কাছে একটি তদন্ত প্রতিবেদন এসেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি এ রিপোর্ট পর্যালোচনা করবে। পরে আমরা কী করবো সে সিদ্ধান্ত নেব। এটা পরিষ্কার যেহেতু তদন্তাধীন ও বিচারাধীন মামলা। বিচারক যদি মনে করেন তাদের বিচারকার্যে এটা প্রয়োজন যদি তারা চান তাহলে আমরা এটা তাদের দেব। না চাইলে আমরা তাদের কাছে দিচ্ছি না।
সিনহা হত্যা তদন্তের প্রতিবেদন কীভাবে প্রকাশ পেল তা কতখানি সত্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ প্রতিবেদন কীভাবে প্রকাশ পেল সেটা আমার জানা নেই। এটা কতখানি সত্য বা কতখানি সত্য নয় এটা আমরা এখন বলতে পারবো না। আমরা যেহেতু পড়িনি, আমরা পড়বো তারপর বলবো এটা সত্য কি না?
এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য একটি পত্রিকায় প্রকাশ পেল এতে আপনারা কোন বিবৃতি দেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা যে প্রকাশ করেছেন বা তথ্য সরবরাহ করেছেন আমি মনে করি কাজটি সঠিক করেননি।
তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা এখনও চিন্তা করছি না। একটি স্বনামধন্য পত্রিকা যেহেতু লিখেছে প্রসঙ্গটা প্রকাশ পেয়েছে। আমরা দেখবো এর সত্যতা কতখানি এবং কার মাধ্যমে তিনি পেয়েছেন। এছাড়া বিচারের আগেই কেন তিনি এটা প্রকাশ করলেন এটা আমাদের জানার বিষয় থাকবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা প্রকাশ করেছেন সঠিক করেননি। বিচারের আগে তারা প্রকাশ করেছেন। তাদের কাছে তো চাওয়া হয়নি। কোর্ট তো কোনো পত্রিকার কাছে চাইবে না। আমাদের কাছে চাইবে আমরা পাঠিয়ে দেব। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য তদন্তের রিপোর্ট আমরা পর্যালোচনা করবো। আমাদের করণীয় তাদের সুপারিশগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলায় সরকারের অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন বলেন, এ বিষয়ে সুস্পষ্ট আইন রয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হলে সরকারের অনুমতি নিতে হয়। সে অনুমতি না নিলে বিচার বিভাগ বিষয়টি দেখবেন। আমাদের এখানে যদি কেউ এ বিষয় তুলে ধরেন তাহলে আমরা বিচার বিভাগের পরামর্শ নিয়েই যা কিছু করতে হয় করব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।