পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : বন্যার কারণে আটকে গেছে মানিকগঞ্জ সরকারি মেডিকেল কলেজ ও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণের কাজ। ৩৯১ কোটি টাকা ব্যয় সম্বলিত এই প্রকল্পের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ রয়েছে। সে মোতাবেক চলতি বছরের মে মাস থেকে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। আগামী ২০২০ সালের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বন্যার কারণে পুরো প্রকল্পটিই পানির নিচে। চারদিকে বাউন্ডারি দেয়াল এবং মহিলা ও পুরুষ হোস্টেল নির্মাণের যে কাজ ধরা হয়েছে তার রডগুলো পানির ওপর দিয়ে দেখা যাচ্ছে। আর একাডেমিক ভবন ও হাসপাতালের দরপত্র অনুমোদনাধীন রয়েছে।
বন্যার পানি নামতে আরও অন্তত ১৫ দিন লাগবে। আর পানি নামার পরও এই প্রকল্পের কাজ অন্তত ৩ মাসের আগে শুরু করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন গণপূর্ত অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট জেলা প্রকৌশলী। আর আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস মোতাবেক যদি চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহের দিকে পানি আরও এক দফা বৃদ্ধি পায় তাহলে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ আরও পিছিয়ে যাওয়ার শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মানিকগঞ্জ শহরে গণপূর্ত অধিদফতর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করছে। এই প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্যই হচ্ছেÑসরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ইমারত নির্মাণ করা। সুনামের সাথেই প্রতিষ্ঠানটি তার জন্মলগ্ন থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের নির্মাণ কাজ করে এলেও ২০০০ সালের পর থেকেই তাতে ছন্দঃপতন ঘটে। এলজিআরডি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের ভবন নির্মাণের কাজগুলো নিজেরাই করা শুরু করে। এছাড়া বেশ কযেকটি প্রতিষ্ঠান ভবন নির্মাণ কাজ নিজেরা শুরু করেছিল। পরবর্তীকালে গণপূর্ত অধিদফতরের বিচক্ষণতায় অনেক প্রতিষ্ঠানটি ফিরে এসেছে এবং গণপূর্ত অধিদফতরকে তাদের ভবণ নির্মাণের কাজ দিয়েছে।
এটি হবে দশতলা ভিতবিশিষ্ট ৫ তলা হাসপাতাল ভবন। আর একাডেমিক ভবনটি হবে ৮তলা ভিতবিশিষ্ট ৬ তলা ভবন। ছাত্র এবং ছাত্রীদের চারতলার পৃথক দুটি ভবন হবে। এই মেডিকেল কলেজটি চালু হলে মানিকগজ্ঞ ছাড়াও মুন্সিগজ্ঞ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও ঢাকার ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার সুযোগ করে দেবে। এই হাপাতালের সাথে নির্মাণাধীন ২৫০ শয্যার মেডিক্যাল ছাড়াও মানিকগজ্ঞে আরও একটি সরকারি হাসপাতাল চালু রয়েছে। এটিও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট। এই সদর হাসপাতাল ভবনটিও নির্মাণ করেছে গণপূর্ত বিভাগ। প্রায় ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হাসপাতালটি চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে হস্তান্ত করা হয়। বর্তমানে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
এদিকে, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মানিগঞ্জে বর্তমানে ৪৬৯ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়াও প্রায় ১শ’ কোটি টাকার কাজ সম্পন্ন করে চলতি বছর বিভিন্ন সংস্থাকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
অন্য যেসব কাজ চলমান রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ১৮ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে শিল্পকলা একাডেমি ভবন নির্মাণ, যা চলতি বছর ডিসেম্বরে সম্পন্ন হবে। চার তলা বিশিস্ট চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে ৫৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে। এটিও চলতি বছর ডিসেম্বরে হস্তান্তর করা হবে। মোট ৮ তলাবিশিষ্ট এই ভবনের আরও ৪তলা নির্মাণের জন্য সহসাই দরপত্র আহ্বান করা হবে। আর জজ কোর্টের ভার্টিক্যাল এক্সটেনশন করা ভবনটির কাজও শেষ হবে ডিসেম্বরে। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
চলমান কাজের বাইরে চলতি বছর যেসব কাজ সম্পন্ন করে হস্তান্তর করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, মানিকগজ্ঞ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, মহিলা পুলিশ ব্যারাক রিজিওনাল সার্ভার স্টেশন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গতকাল গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান মুন্সি ইনকিলাবকে জানান, গুণগত মানের কারণে গণপূর্ত অধিদফতর এখন সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের শীর্ষস্থানে রয়েছে। আমরা এই সংস্থাটি এখন আরও আধুনিক ও উন্নতমানের কাজের নিশ্চয়তা দিচ্ছে। যার কারণে, যারা এখান থেকে চলে গিয়েছিল তারা আবার ফিরে আসছে। তিনি বলেন, মানিকগজ্ঞ সরকারি মেডিকেল কলেজ ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণের কাজটি যথাসময়ে সম্পন্ন করার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকারমূলক কাজের একটি। এদিকটি আমাদের খেয়াল রয়েছে। প্রয়োজনে আমরা কাজের গতি আরও বাড়িয়ে দেব। যাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমরা এই প্রকল্পটি সম্পন্ন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করতে পারি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।