পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। গতকাল সিন্ডিকেট সভায় ড. মোর্শেদকে চাকরি থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিধি-বহির্ভূত ও অন্যায়ভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মর্মে তা পুনর্বিবেচনার আহবান জানিয়েছে ঢাবি সাদাদলের শতাধিক শিক্ষক। শুধুমাত্র ভিন্নমত ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে তারা মনে করেন।
সাদা দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) পরিচালিত হয় এর স্ট্যাটিউট ও ১৯৭৩ সালের আদেশ (ঢাকা ইউনিভার্সিটি অর্ডার ১৯৭৩) দ্বারা। এই আদেশের কোনো ধারায় লেখা নেই যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শ গ্রহণ করতে পারবে না। বরং স্বাধীন রাজনৈতিক মতাদর্শ লালন, অনুসরণ ও চর্চার অধিকার রয়েছে। এমনকি কর্মরত শিক্ষকদের রাজনৈতিক দল, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপূর্ণ পদ গ্রহণেও আইনগত বাধা নেই।
জানা যায়, ২০১৮ সালের মার্চে একটি জাতীয় দৈনিকে নিবন্ধ লিখে সেখানে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে ‘আপত্তিজনক’ মন্তব্য লেখা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পরে বিষয়টি রাজনৈতিক পর্যায়ে গিয়ে ঠেকে। অবশ্য নিবন্ধটি প্রকাশের সাথে সাথেই দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দেন ড. মোর্শেদ হাসান খান।
এরপরও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে অ্যাকাডেমিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে তদন্ত কমিটি ও ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। সপ্তাহখানেক আগে ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’ নামের একটি সংগঠন ড. মোর্শেদের চাকরিচ্যুতির দাবিতে মানববন্ধন করে। তাদের এই আন্দোলন বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন সাদা দলের শিক্ষকরা। ঢাবি ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আইন অনুযায়ি যেটি ব্যবস্থা নেয়ার সেটিই নেয়া হয়েছে।
এদিকে ড. মোর্শেদ হাসান খানকে কারো দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে তিনি যেন ন্যায় বিচার পান সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে ঢাবি ভিসিকে দুইবার চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দল। তবুও ড. মোর্শেদকে চাকরিচ্যুতির ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে সাদাদল। সংগঠনের আহবায়ক অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বিবৃতিতে বলা হয়- ড. মোর্শেদকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়ার ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়েছি।
এদিকে, অপর এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, স্বাধীন মত প্রকাশ ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার কেন্দ্র হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য রয়েছে। কিন্তু গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সুমহান ঐতিহ্যটি নস্যাৎ করার অপপ্রয়াস চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।