Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

শাহজালালে কোকেন সদৃশ মাদক জব্দ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রফতানি কার্গো ভিলেজ থেকে বিপুল পরিমাণ কোকেন সাদৃশ্য মাদক উদ্ধার করেছে এভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্সের (অ্যাভসেক) সদস্যরা। জব্দকৃত মাদক পণ্যের রাসায়নিক নাম এমথেডামিন। গতকাল বুধবার এগুলো আটক করা হয়। মালামাল বিদেশ পাঠানোর আগে স্ক্রিনিংয়ের সময় এগুলো ধরা পড়ে। কার্টনের গায়ে পণ্যের নাম ‘রফতানি পোশাক’ উল্লেখ করে এগুলো হংকং পাঠানো হচ্ছিল। তল্লাশিতে পোশাকের সঙ্গে বিশেষ কায়দায় রাখা এসব মাদক উদ্ধার করা হয়। জব্দকৃত মাদকের বর্তমান বাজার মূল্য কমপক্ষে ২৪ কোটি টাকা। এমথেডামিন দিয়ে সাধারণত উন্নত মানের ইয়াবাসহ অন্যান্য ব্র্যান্ডের মাদকদ্রব্য তৈরি করা হয়। এ চালানটি যাচ্ছিল ঢাকা থেকে হংকং হয়ে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে। বিমান বন্দর সূত্র এসব তথ্য জানা গেছে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ উল আহসান বলেন, মাদকটি কোকেন সাদৃশ্য কিন্তু আসলেই কোকেন কি-না এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে আমরা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে- এটি একটি প্রথম শ্রেণির মাদক। একটি বিদেশী কুরিয়ারের মাধ্যমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি কার্গো ফ্লাইট হংকং যাওয়ার কথা ছিল। সেই কার্গোতে মোট ৩৪০টি কার্টন ছিল। প্রাথমিকভাবে নারকটিক্সের বিশেষজ্ঞরা এসে এটাকে এমথেডামিন হিসেবে চিহ্নিত করেন। যা একটি প্রথম শ্রেনীর মাদক উপাদান।
তিনি আরো বলেন, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রপ্তানি কার্গো ভিলেজে ডুয়েল ভিউ স্ক্যানারে নিরাপত্তা তলাশি বা স্ক্রিনিংয়ের সময় এভিয়েশন সিকিউরিটির সদস্যরা রপ্তানি পোশাকের চালানে কোকেন সদৃশ মাদক আটক করে। পন্যগুলো নেপচুন প্রেফইট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানীর গার্মেন্টস পন্যের চালান। কোম্পানীটির মালিকের নাম রুবেল হোসেন, ৫০১, রোড ১৪ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা এই ঠিকানায় অবিস্থত কোম্পানীটি। ইউনাইটেড ট্রেড নামক একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই পন্যগুলো প্যাকেজিং করা হয়। একটি বিদেশী কুরিয়ারের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে আজ (বুধবার) রাতে পন্যগুলো হংকং যাবার কথা ছিল। ঢাকা কাস্টম হাউজের ডেপুটি কমিশনার (প্রিভেন্টিভ) মোহাম্মদ মারুফুর রহমান জানান, ৩৪০ কার্টন রফতানি পণ্যচালানে (রেডিমেট গার্মেন্টস) সাত কার্টনে প্রায় ১৫ কেজি ৬৫৮ গ্রাম (প্যাকেটসহ গ্রস ওজন) পাউডার জাতীয় পদার্থ আটক করা হয়েছে। রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য ইতোমধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে প্রেরণ করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ