Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই করেছে পুলিশ!

প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কেরানীগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা : ঢাকার কেরানীগঞ্জে জিনজিরা এলাকার এক ব্যবসায়ীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে টাকা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় ইট-বালু ব্যবসায়ী মো. নাইয়েম ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগটি তদন্ত করছেন ঢাকা জেলা ডিএজবি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাইদুর রহমান। ব্যবসায়ী মো. নাইয়েম বলেন, আমি এক সময় কেরানীগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি ছিলাম। ৮ জানুয়ারী বিকেলে আমার জিনজিরাস্থ হাউলি বাসার সামনে থেকে কেরানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মনোয়ার হোসেন, উপ-পরিদর্শক মো. জালাল উদ্দিন ও উপ-পরিদর্শক সাইদুজ্জামান সাদা পোশাকে আমাকে থানায় নেয়ার জন্য রিকাশায় তুলেন। কিন্তু তারা আমাকে থানায় না নিয়ে জিনজিরা বাদশামার গলির ভিতর একটি রিকসা গ্যারেজে রাখে। দারোগা মনোয়ার হোসেন নাইয়েমের পকেটে থাকা ৩৬ হাজার টাকা জোড়পূর্বক নিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যায় একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে দোহার-নবাবগঞ্জ সড়কের ডায়মন্ড ফ্যাক্টরীর পিছনে একটি বিলের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তারা ক্রসফায়ার দেয়ার কথা বলে আমাকে অযু করায়। এসময় তারা মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত কোন ব্যক্তির সঙ্গে ঘন ঘন কথা বলে। আমাকে বাঁচতে হলে তাদেরকে ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে। আমি ৫০ লাখ টাকা দিতে অপরাগত জানালে তারা আমাকে আবার ক্রসফায়ারের জন্য প্রস্তুত হতে বলে। আমার জানের ভয়ে তাদেরকে ৫ লাখ টাকা দিতে রাজি হই। বিলের মধ্যে প্রায় ৩ ঘন্টা তাকে মানষিকভাবে নির্যাতন করে। তারা ৫ লাখ টাকা পাবার আশায় আমাকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় নিয়ে আসে। রাতে তার ভাগ্নে জিনজিরা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মোহাম্মদ ইসলাম আমাকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য থানার ওসি মো. ফেরদাউস হোসেনের সঙ্গে কথা বলেন। যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ ইসলাম বলেন, তার মামাকে ছাড়াতে গেলে ওসি তার কাছে ৩ লাখ টাকা দাবী করে। পরে তার মামাকে ছাড়াতে ১ লাখ টাকা রফাদফার পরের দিন সকালে ছাড়িয়ে আনা হয়। এছাড়া দারোগা মনোয়ার হোসেন তার মামার কাছ থেকে ৩৬ হাজার টাকা জোড়পূর্বক নিয়েছে। এই ঘটনায় দারোগা মনোয়ার হোসেন, দারোগা জালাল উদ্দিন ও মো. সাইদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। এব্যাপারে উপ-পরিদর্শক মনোয়ার হোসেন বলেন, উপরের নির্দেশে ব্যবসায়ী নাইয়েমকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগটি সত্য নয়। এই ঘটনায় ঢাকা জেলা ডিএজবি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইদুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। সত্যতা প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই করেছে পুলিশ!
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ