পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকার কেরানীগঞ্জের কালিগঞ্জ গার্মেন্টস পল্লীতে ব্যবসায়ী ও নৌকার মাঝিরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে। বুড়িগঙ্গা নদীর সদরঘাট সংলগ্ন খেয়া পারাপারের তিনটি ঘাট বন্ধ করে দেয়ার প্রতিবাদে গতকাল এ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় কেরানীগঞ্জে কালিগঞ্জ গার্মেন্টস পল্লীর হাজার হাজার ব্যবসায়ী তাদের দোকান ও গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ করে রাস্তায় নেমে আসে। এ ঘাট তিনটি দিয়েই ব্যবসায়ীরা সামগ্রী কেনার জন্য গার্মেন্টস পল্লীতে আসে। এছাড়া হাজার হাজার নৌকার মাঝি বেকার হয়ে যাওয়ায় তারাও বিক্ষোভ মিছিল করে।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে এ ঘাট তিনটি বন্ধ করে দিয়ে সেখানে জাহাজ ভেড়ানোর জন্য পন্টুন স্থাপন করে বিআইডব্লিউটিএ। এছাড়া লোকজনের পারাপারের জন্য পার্শ্ববর্তী নাগরমহল পন্টুন থেকে ওপারের নবাববাড়ি সংলগ্ন বাদামতলী এলাকায় স্থাপিত পন্টুনে দুটি ওয়াটার বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। এতে করে বিপাকে পড়েছে ওইসব ঘাট ব্যবহারকারি পথচারি-ব্যবসায়ী ও নৌকা মাঝিরা। তাই তারা ওই তীরের ঘাট বন্ধের প্রতিবাদে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দিনভর বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন।
খেয়া পারাপারের নৌকার মাঝি আবুল হাসেম বলেন, সরকার খেয়াঘাট বন্ধ করে আমাদের পেটে লাথি মেরেছে। কি করে আমরা বেঁচে থাকবো। নৌকা চললে আমাদের সংসার চলবে। বরিশাল থেকে আসা ব্যবসায়ী মো. জাকির হোসেন বলেন, মাল কিনেছি এখন কোন লেবার লঞ্চে নিতে চায় না। আগে একটা বস্তা নিতাম ৫০ টাকায় আর এখন চায় ১০০ টাকা। আবার ওই পার থেকে কত টাকা লাগে জানি না।
কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী মো. মুসলিম ঢালী বলেন, লঞ্চ মালিকদের গাফিলতি ও অপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন স্থানে লঞ্চ নোঙর করার কারণে নৌদুর্ঘটনা ঘটে। পরিকল্পিতভাবে টার্মিনালে লঞ্চ নোঙর করলে ও ছেড়ে গেলে কোন দুর্ঘটনা ঘটবে না। একটা মহল এখানকার গার্মেন্টস ব্যবসা ধ্বংস করার চক্রান্ত করছে। এ ঘাট তিনটি বন্ধ হলে এখানকার গার্মেন্টস ব্যবসা ধ্বংস হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক এ কেএম আরিফ উদ্দিন বলেন, এখানে একাধিকবার নৌদুর্ঘটনা ঘটেছে। আর যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে তাই জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।