পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তির মেয়াদ ২য় দফায় আরও ৬ মাস বৃদ্ধি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নজিরবিহীন মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন। অপরদিকে ধন্যবাদের সংস্কৃতি লালন করে না বলে বিএনপি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতেও ব্যর্থ হয়েছে।
গতকাল শনিবার ঢাকায় তথ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে টেলিভিশন শিল্পী-কলাকুশলীদের বিভিন্ন সংগঠনের জোট ‹ ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশন (এফটিপিও) নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নজিরবিহীনভাবে একজন শাস্তিপ্রাপ্ত আসামি খালেদা জিয়া যিনি ১০ বছর কারাদন্ডপ্রাপ্ত তাও এতিমের টাকা আত্মসাতের কারণে দুর্নীতির দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত, তাকে নজিরবিহীনভাবে দন্ডবিধির ৪০১ ধারার ক্ষমতাবলে তাকে মুক্তি দিয়েছেন। ছয় মাসের জন্য প্রাথমিকভাবে মুক্তি দেয়া হয়েছে, পরে আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, এই প্রথম সিআরপিসির (দন্ডবিধি) ৪০১ ধারায় যে প্রদত্ত ক্ষমতা সেটা প্রধানমন্ত্রী প্রয়োগ করেছেন। এতে বিএনপির ধন্যবাদ জানানো প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে বিএনপি ধন্যবাদ জানানোর সংস্কৃতিটা লালন করে না। এজন্য তারা ধন্যবাদ জানাতে ব্যর্থ হয়েছে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির কাছে আমার প্রশ্ন- এই পরিস্থিতি যদি উল্টোভাবে ভাবি, বেগম খালেদা যদি প্রধানমন্ত্রী থাকতেন, তিনি কি শেখ হাসিনার জন্য এই ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন? আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি করতেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমস্ত কিছু ভুলে তাকে এই মহানুভবতা দেখিয়েছেন, এটি নজিরবিহীন।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা দেখেছি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নামে বিএনপি যেভাবে ভোট বানচাল করার চেষ্টা করেছে, ৫০০ ভোটকেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছে, এমনকি পোলিং অফিসারকে হত্যা করেছে। এই যদি তাদের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নমুনা হয়, প্রকৃতপক্ষে বিএনপি হচ্ছে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।
এফটিপিও নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, টিআরপি ব্যবস্থাকে নিয়ম-নীতির মধ্যে আনতে নিয়ে তিন মাস আগ থেকে তথ্য মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করেছে। আমরা একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছি। এই কমিটি সুপারিশ করবে কিভাবে বিজ্ঞানসম্মতভাবে এবং অন্যান্য দেশে যেভাবে টিআরপি নির্ধারণ করা হয়, সেই পদ্ধতিতে আমাদের দেশে কীভাবে টিআরপি নির্ধারণ করা যায়।
এফটিপিও আহবায়ক নাট্যকার মামুনুর রশীদের নেতৃত্বে সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে সালাহউদ্দীন লাভলু, আহসান হাবিব নাসিম, এজাজ মুন্না, এস এ হক অলীক, সাজু খাদেম, ইরেশ যাকের, গাজী রাকায়েত এবং আনজাম মাসুদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।