পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সে নাগরিকদের মুখোমুখি হয়ে গো-রক্ষার নামে সাধারণ মানুষের ওপর ‘জুলুমবাজি’র নিন্দা করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইদানীং দেশের কয়েকটি জায়গায় গো-রক্ষার অজুহাতে মারধর, জুলুমের অভিযোগে আঙুল উঠেছে তার দল ও সঙ্ঘ পরিবারের কিছু সংগঠনের বিরুদ্ধে। গত শনিবার কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদের সূচনা করা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কিন্তু পরিষ্কার বলেন, যখন দেখি গো-রক্ষার নামে লোকে ‘দোকান’ খুলে বসছে, তখন ভীষণ রাগ হয়। গো-রক্ষার নাম করে যারা সমাজবিরোধী কাজকর্ম করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চান তিনি।
সরকারের নাগরিকদের সঙ্গে সংযোগ তৈরির কর্মসূচি মাইগভ-এর দ্বিতীয় বর্ষ পূর্তিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা সমাজসেবা, গো-রক্ষা করতে চান, তারা বরং আগে গরু যাতে প্লাস্টিক, বর্জ্য পদার্থ না খায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। ওসব পেটে গিয়েই মরে গরু। গত মাসেই প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্য গুজরাতের উনায় মৃত গরুর চামড়া ছাড়ানোর জন্য এসইউভি’র সঙ্গে বেঁধে চার দলিতকে মারধর করা হয়েছে। এমনকি ভীতি ছড়াতে হুঁশিয়ারি দেওয়ার উদ্দেশে সেই দৃশ্যের ভিডিও পর্যন্ত অনলাইনে তুলে দেওয়া হয়েছে।
কয়েকদিন আগে মধ্যপ্রদেশের নিমাচে ব্যাগে গরুর গোশত আছে, এই সন্দেহে দু’জন মুসলিম মহিলাকে ট্রেনে মারধর করা হয়েছে। কিন্তু কেন তিনি এ ধরনের স্বঘোষিত গো-প্রেমীদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে একটি কথাও বলছেন না, বিরোধীরা এই অভিযোগে কাঠগড়ায় তুলেছে প্রধানমন্ত্রীকে। এদিনই প্রথম এ ব্যাপারে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় মুখ খুলে মোদি বুঝিয়ে দিলেন, তিনি এমন আচরণ সমর্থন করেন না।
মোদি বলেছেন, আমি দেখেছি, রাতে যারা দুষ্কর্ম করে বেড়ায়, দিনের বেলায় তারাই গো-রক্ষার কথা বলে। এ ধরনের ‘সমাজবিরোধীদের’ ওপর তিনি বিরক্ত। এ ধরনের গো-ভক্তদের কার্যকলাপ নিয়ে ডসিয়ার বা তথ্যপঞ্জি তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতেও তিনি সব রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন। মোদি বলেন, যারা প্রকৃতই গরুকে ভালোবাসে, তারা মানুষকে সন্ত্রস্ত করে না।
তিনি এও বলেন, সমাজসেবার বোধ আমাদের সংস্কৃতিতেই রয়েছে। আমরা সর্বদা বিপদে পড়লে সবাইকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। তিনি বালেন, ‘আগে ভারত’ এটাই আমাদের বিদেশনীতির মূল কথা। দেশের জন্য খাদি, ফ্যাশনের জন্য খাদি, এটাই হোক আমাদের চালিকানীতি। তিনি আরো বলেন, আমরা মোট ব্যয়ের মাত্র ৫ শতাংশ খাদি ও তাঁতের তৈরি জামাকাপড়ের পেছনে দিলেই দেশের গরিবদের চেহারা বদলে দেওয়া যাবে। চাষির ছেলে চাষি হয় নিজের ইচ্ছায় নয়, পরিস্থিতির চাপে অসহায়ত্বের ফলেই। সূত্র : এবিপি আনন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।