পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইকোপার্কে পোর্ট সিটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী হত্যা
সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : সীতাকুন্ড ইকোপার্কে পোর্ট সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মুন্নী আক্তার (২৪) হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তারই ঘনিষ্ঠ বান্ধবী একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাহমিদা হক যুথিকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছেন মামলার তদন্তকারী অফিসার। থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ মে চট্টগ্রামের পোর্ট সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্রী মুন্নী আক্তারকে বেড়ানোর নাম করে সীতাকু- ইকোপার্কে নিয়ে হত্যা করে তার বর্তমান ও সাবেক ২ প্রেমিক, ঘনিষ্ঠ ২ বান্ধবী ও এক বান্ধবীর বয়ফ্রেন্ড। তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে মুন্নীকে সেখানে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ পাহাড়ের গভীর জঙ্গলে ফেলে রেখে ফিরে যায়। এ ঘটনার পর পত্রিকায় ইকোপার্কে এক যুবতীর লাশ উদ্ধারের কথা প্রকাশ হলে মুন্নীর স্বজনরা চমেক হাসপাতালের মর্গে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। পুলিশ জানায়, লাশ শনাক্ত হবার পর মুন্নীর মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করা হয়। পরে তার সাথে ঘটনার দিন ও এর আগে মোবাইলে কার কার কথা হয়েছে এবং কি কথা হয়েছে তদন্ত শুরু করলে হত্যায় জড়িতদের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। এসব তথ্য যাচাই করে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে, মুন্নী হত্যার পেছনে রয়েছে এক ত্রিভূজ প্রেমের কাহিনী। মামলার তদন্তকারী অফিসার সীতাকু- থানার এস.আই মোঃ কামাল উদ্দিন জানান, নিহত মুন্নী আক্তার (২৪) চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার উত্তর গোবিন্দ’র খীল গ্রামের আবুল কালামের কন্যা ও নগরীর পোর্ট সিটি ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রী। সে চট্টগ্রামে তার এক আত্মীয়ের বাসায় থেকে পড়াশোনা করে আসছিল। তদন্তকালে জানা যায়, এলাকায় নীরিহ স্বভাবের বলে পরিচিত মুন্নীর প্রকৃত রূপ ছিল ভিন্ন। চট্টগ্রামে পড়াশোনা করতে গিয়ে সে বিভিন্ন সময়ে একাধিক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এসব জানাজানি হলে তার ৩ প্রেমিক একত্রিত হয়ে দুই বান্ধবীসহ গত ১৩ মে ইকোপার্কে বেড়ানোর নাম করে নিয়ে হত্যা করে। তদন্তে হত্যা-রহস্য উদঘাটনের পর গত বুধবার চট্টগ্রামের পোর্ট কলোনী ১নং রোডের ১/সি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মুন্নীর প্রথম প্রেমিক রমজান আলী রাহাতকে। গত বৃহস্পতিবার সে চট্টগ্রাম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়ে রাহাত ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ঘটনার বর্ণনা দেয়। এরপর শনিবার অভিযান চালিয়ে পুলিশ গ্রেপ্তার করে মুন্নীর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী পোর্ট সিটি ইউনিভার্সিটির অপর ছাত্রী ফাহমিদা হক যুথিকে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই মোঃ কামাল উদ্দিন মুন্নী হত্যার ঘটনায় যুথিকে গ্রেপ্তারের কথা নিশ্চিত করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।