Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভাগ্য রজনীতে বিশুদ্ধ আমল ও ইবাদত : একটি দালিলিক বিশ্লেষণ

ড. মুহাম্মদ নূরুল আমিন নূরী | প্রকাশের সময় : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

পূর্ব প্রকাশিতের পর


ইমাম ইবন জারীর (রা.)-ও লাইলাতুর কাদর বিহীন সময়ের এক হাজার মাসের চেয়ে একটি লাইলাতুল কাদর উত্তম বলে মত প্রকাশ করেন। (তাফসীরে ’ইবন কাছীর, খ. ৪, পৃ. ৫৩৫)।) যেমন রাসূলুল্লাহ্ (স.) বলেছেন, এক রাতের জিহাদের প্রস্তুতি সেই রাত ছাড়া অন্য এক হাজার রাতের চেয়ে উত্তম। (মুসনাদু ’আহমদ, খ. ১, পৃ. ৫০৯, হা নং ৪৬৩)। অনুরূপভাবে অন্য হাদীছে আসছে, যে ব্যক্তি সৎ নিয়তে এবং ভালো অবস্থায় জুমু‘আর নামায আদায়ের জন্যে যায় তার আমলনামায় এক বছরের রোযা ও নামাযের সওয়াব লিখা হয়। (তাফসীরে ’ইবন কাছীর, খ. ৪, পৃ. ৫৩৫।) কেউ কেউ বলেন, পূর্বেকার যুগে এক হাজার মাস তথা ৮৩ বছর চার মাস পর্যন্ত ইবাদত না করলে তাকে আবিদ বলা হত না। আল্লাহ্ তা‘আলা হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (স.)-এর উম্মতের জন্য কাদরের রাত্রিতে ইবাদত করাকে পূর্বেকার হাজার মাস ইবাদত থেকে উত্তম বলা হয়েছে। আবূ বকর আল-ওয়াররাক (রা.) বলেন, সুলাইমান (আ.)-এর বাদশাহী ছিল পাঁচশত বছর, যুলকারনাইন (রা.)-এর রাজত্ব ছিল পাঁচশত বছর। উভয়ে রাজত্বের সময়কাল হয় এক হাজার বছর। আল্লাহ্ তা‘আলা এই কদরের রাত্রিতে ইবাদত করাকে উভয়ের রাজত্ব থেকে উত্তম বলেছেন। (তাফ্সীরুল কুরতুবী, খ. ২০, পৃ. ১৩১)।
মোটকথা, এক হাজার মাস বলতে এমন এক হাজার মাসের কথা বুঝানো হয়েছে, যে সময়ের মধ্যে লাইলাতুল কাদর থাকবে না। যেমন এক হাজার রাত বলতে সেই সব রাতের কথাই বলা হয়েছে যে সব রাতে সেই ইবাদতের রাত থাকবে না। একইভাবে জুমু‘আর নামাযে যাওয়ার সওয়াবের যে কথা বলা হয়েছে তাতে এমন এক বছরের পুণ্যের বা সওয়াবের কথা বলা হয়েছে যার মধ্যে জুমু‘আ থাকবে না।
সালামুন হিয়া হাত্তা মাত্লাইল ফাজ্র “এটা নিরাপত্তা, যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।”
ফিরিশতাগণ কাদরের রাত্রে সারা বছরের অবধারিত ঘটনাবলি নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করে। কেউ কেউ সালাম-এর সাথে সম্পর্কযুক্ত করে এ অর্থ করেছেন যে, এ রাত্রিটি যাবতীয় অনিষ্ট ও বিপদাপদ থেকে শান্তিস্বরূপ। (তাফসীরে ’ইবন কাছীর, খ. ৪, পৃ. ৫৩৫)। এই রাত্রি শান্তিই শান্তি, মঙ্গলই মঙ্গল। এতে অনিষ্টের নামও নেই। ফিরিশতাগণ প্রত্যেক শান্তি ও কল্যাণকর বিষয় নিয়ে আগমন করে। কালবী বলেন, জিবরীল ফিরিশতা এই রাত্রিতে ফিরিশতাদের নিয়ে আগমন করে এবং তারা প্রত্যেক মুসলমানদেরকে সালাম পেশ করে। হযরত আনস (র.) থেকে বর্ণিত, নাবী কারীম (স.) ইরশাদ করেন, কদরের রাত্রে জিবরাঈল (আ.) ফিরিস্তাদের একদল নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন এবং যত নারী-পুরুষ নামায অথবা জিকিরে মশগুল থাকে, তাদের জন্য রহমতের দু‘আ করেন এবং সলাম পেশ করেন। (তাফ্সীরুল কুরতুবী, খ. ২০, পৃ. ১৩৪।) দাহ্হাক (রা.) বলেন, আল্লাহ্ তা‘আলা কাদরের রাত্রিতে কেবল শান্তিই শান্তি বর্ষণ করেন। আর অন্যান্য রাত্রিতে শান্তি ও মসিবত সবই নাযিল করেন। কেউ কেউ বলেন, এই রাত্রিতে প্রত্যেক মু’মিন পুরুষ ও নারী শয়তানের অনিষ্ট হতে নিরাপদ থাকে। এই রাত্রিতে শয়তান কোন প্রকার খারাপ বা অনিষ্টের কাজ আঞ্জাম দিতে পারে না। শা‘বী (রা.) বলেন, ফিরিশতারা কাদরের রাত্রিতে সূর্য অস্ত যাওয়া থেকে নিয়ে ফজর উদিত হওয়া পর্যন্ত মসজিদবাসীদেরকে সালাম করে এবং প্রত্যেক মু’মিনের নিকট গমন কালে বলে,“ আস-সালামু আলাইকা আইওহাল মু’মিন” হে মু’মিন তোমার উপর সালাম বর্ষিত হোক। কেউ কেউ বলেন, এই রাত্রিতে ফিরিশতারা একে অপরকে সালাম পেশ করে। কাতাদা (রা.) বলেন, এই রাত্রিই ফজর পর্যন্ত শান্তি আর শান্তি। (তাফ্সীরুল কুরতুবী, খ. ২০, পৃ. ১৩৪)।
লাইলাতুল কাদরের লাভ ও আমল: লাইলাতুল কাদরের লাভ ও মাহাত্ম্য সম্পর্কে অসংখ্য হাদীছে রয়েছে। তৎমধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি আলোচনা করা হলো। এক. হযরত আবূ হুরাইরা (র.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সওয়াবের আশায় কাদরের রাত জাগরণ (ইবাদত) করবে, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মার্জনা করে দেয়া হয়। (আল-বুখারী, খ. ২, পৃ. ৭০৯, হা নং ১০১০)। সুতরাং এই রাত্রিতে বেশি বেশি নফল নামায, ‘উম্রী কাদা, সালাতুত তাসবীহের নামায, কুরআন তিলাওয়াত, যিক্র, তাসবীহ, তাহলীল, ইস্তিগফার, দান-খায়রাত ও দু‘আ করবেন এবং কুরআন ও হাদীছের ওয়াজ মাহফিল হলে তাও শুনবেন। দুই. হযরত আনস (র.) থেকে বর্ণিত, নাবী কারীম (স.) ইরশাদ করেন, কদরের রাত্রে জিবরাঈল (আ.) ফিরিস্তাদের একদল নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন এবং যত নারী-পুরুষ নামায অথবা যিক্রে মশগুল থাকে, তাদের জন্য রহমতের দু‘আ করেন এবং সলাম পেশ করেন। (তাফ্সীরুল কুরতুবী, খ. ২০, পৃ. ১৩৪।)
তিন. ইবন আব্বাস (র.) থেকে বর্ণিত, নাবী কারীম (স.) ইরশাদ করেন, কাদরের রাত্রে সিদরাতুল মুন্তাহার অধিবাসী ফিরিশতারা অবতরণ করেন, তাদের সাথে জিবরীল (আ.) ও থাকেন। তাদের সাথে অসংখ্য পাতাকা থাকে। একটি পাতাকা আমার কবরে উপর, আরেকটি বাইতুল মুকাদ্দাসে, আরেকটি মসজিদুল হারামের উপর উড্ডীন করেন। যে কোন মু’মিন পুরুষ ও নারীর সাথে সাক্ষাৎ ঘটলেই তারা তাদেরকে সালাম করেন। কিন্তু মদ পানকারী, শুকরের গোশত ভক্ষণকারী এবং যা‘ফরান খুশবো ব্যবাহারকারীদের সালাম করেন না। অন্য হাদীছে আসছে, এই রাত্রিতে ফজর পর্যন্ত শয়তান বের হতে সক্ষম হয় না এবং কাউকে কোন প্রকার ক্ষতি সাধন করতে সক্ষম হয় না। আর এই রাত্রিতে যাদুকরের যাদু ফলপ্রসূ হয় না। (তাফ্সীরুল কুরতুবী, খ. ২০, পৃ. ১৩৭।)
চার.হযরত ইবন আবাস (র.)-এর বর্ণনায় রাসূলুল্লাহ্ (স.) বলেন, লাইলাতুল কাদরে সিদরাতুল মুন্তাহায় অবস্থানকারী সব ফিরিশতা জিবরাঈলের সাথে দুনিয়ায় অবতরণ করেন এবং মদ্যপায়ী ও শূকরের গোশত ভক্ষণকারী ব্যতীত প্রত্যেক মু’মিন পুরুষ ও নারীকে সালাম করে।(তাফ্সীরুল কুরতুবী, খ. ২০, পৃ. ১৩৭।)
পাঁচ. আয়িশা (র.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন রামাদানের শেষ দশক আসত তখন নবী কারীম (স.) তাঁর লুঙ্গি কষে নিতেন (বেশি বেশি ইবাদতের প্রস্তুতি নিতেন) এবং রাত্রে জেগে থাকতেন ও পরিবার-পরিজনকে জাগিয়ে দিতেন। (আল-বুখারী, খ. ২, পৃ. ৭১১, হা নং ১৯২০; মুসলিম, খ. ২, পৃ. ৮৩২, হা নং ১১৭৪)।
ছয়. হযরত আয়িশা (র.) জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসূল! (স.) যদি আমি কদরের রাত্রি পেয়ে যাই তবে আমি কি দু‘আ পাঠ করবো? উত্তরে তিনি বললেন, তুমি বলবে, আল্লাহুম্মা ’ইন্নাকা ‘আফুব্বুন তুহিব্বুল ‘আফ্ওয়া ফা‘ফু ‘আন্নী“হে আল্লাহ্! নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করাকে আপনি ভালবাসেন, সুতরাং আমাকে ক্ষমা করে দিন।” (মুসনাদু ’আহমদ, খ. ৪২,পৃ. ৫০৯, হা নং ২৫৩৮৪)।
সাত. হযরত আয়িশা (র.) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (স.) রামাদান মাসে ইবাদতে বেশি প্ররিশ্রম করতেন যা অন্য মাসে করতেন না। আর রামাদানের শেষ দশকে এভাবে ইবাদতে মগ্ন থাকতেন যা অন্য দিনে করতেন না। (মুসলমি, খ. ২, পৃ. ৮৩২, হা নং ১১৭৫)।
আট. হযরত কা‘ব (র.) বলেন, ঐ রাতে যে ব্যক্তি তিনবার “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু” পাঠ করে, তার প্রথমবারের পাঠের সাথে সাথেই সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যায়, দ্বিতীয়বার পড়ার সাথে সাথেই জাহান্নাম থেকে সে মুক্তি পেয়ে যায়, তৃতীয়বার পাঠ করার সাথে সাথেই জান্নাতে প্রবেশ সুুনিশ্চিত হয়ে যায়। (তাফসীরে ’ইবন কাছীর, খ. ৪, পৃ. ৫৩৯।)
নয়. হযরত উবাইদুল্লাহ্ ইবন আমির (র.) থেকে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ্ (স.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি কাদরের রাত্রিতে মাগরিব ও ইশার নামায জামা‘আতের সাথে আদায় করবে, সেও এ রাত্রির সওয়াব হাসিল করবে। (তাফ্সীরুল কুরতুবী, খ. ২০, পৃ. ১৩৮।)
দশ. ‘উবাদা ইবনুস সামিত (র.) থেকে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ্ (স.) ইরশাদ করেন, লাইলাতুল কাদর হলো, রামাদানের শেষ দশকে। যে ব্যক্তি সুন্দররূপে এই রাতগুলো জাগ্রত থেকে ইবাদত করবে, আল্লাহ্ তা‘আলা তার পূর্বের এবং পরের গোনাহসমূহ মাফ করে দিবেন। (তাফসীরে ’ইবন কাছীর, খ. ৪, পৃ. ৫৩৬; মুসনাদু ’আহমদ, খ. ৩৭,পৃ. ৪২৫, হা নং ২২৭৬৫।)
উপরোক্ত হাদীছে থেকে এটা প্রতীয়মান হয়, লাইলাতুল কাদরে বেশি বেশি নাফল নামায, উমরী কাদা, সালাতুস তাসবীহসহ যিক্র-আযকার, তাসবীহাত, তাওবা-ইস্তিগফার, মহানবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (স.)-এর উপর দরুদ ও সালাম পেশ করবেন, পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত, গরীব-অসহায় ও আল্লাহ্র রাস্তায় দান করবেন, কুরআন ও হাদীছের ওয়াজ-নাছীহাত হলে তা শ্রবণ করাসহ শরী‘আতে উদ্ধৃত ইবাদত করে রাত জেগে থাকবেন এবং রাত ১২টার পরে ৪ রাকা‘আত, ৮ রাকা‘আত, ১০ রাক‘আত, ১২ রাক‘আত তাহাজ্জুদ নামায আদায় করবেন এবং নিজের জন্য আত্মীয়-স্বজনের জন্য এবং সমস্ত মুসলমানদের জন্য দু‘আ করবেন। তবে লাইলাতুল কাদরের নিয়্যতে ছয় নিয়্যতে বার রাক‘আত নির্র্দিষ্ট সূরা দিয়ে পড়ার নিয়ম-পদ্ধতি যা কোন কোন বইতে রয়েছে তার কোন মৌলিক ভিত্তি নেই। সুতরাং এগুলো সম্পূর্ণরূপে পরিহার যোগ্য। কারণ ছাওয়াবের আশায় ইবাদত করতে হলে পবিত্র কুরআন ও হাদীছের বিশুদ্ধ দালীলের ভিত্তিতে করতে হবে। তা না হলে আল্লাহ্ তা‘আলা তা কবুল করবেন না।
কাদরের রাত্রি কোনটি: কাদরের রাত্রি কোনটি এ বিষয়ে অসংখ্য মত পরিলক্ষিত হয়। তবে নিন্মোক্ত প্রসিদ্ধ ১১টি মত উল্লেখ করা হল। এক. জামহুর উলমায়ে কেরামের মত হলো, কাদরের রাত্রি হলো, ২৭ তারিখের রাত। হযরত আয়িশা (র.), মু‘আবিয়া (র.), উবাই ইবন কা‘ব (রা.)-সহ অসংখ্য সাহাবীদেরও মত এটি। তাদের দলীলসমূহ,
১. হযরত যার ইবন হুবাইশ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উবাই ইবন কা‘বকে বললাম, আপনার ভাই আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (র.) বলেন, যে ব্যক্তি সারা বছরের রাত্রিতে ইবাদত করবে সে কাদর পেয়ে যাবে। তিনি বললেন, আল্লাহ্ আবূ আব্দুর রহমানকে ক্ষমা করুন। রাসূলুল্লাহ্ (স.) থেকে জানা গেছে যে, সেটি রামাদানের শেষ দশকে রয়েছে। মূলত সেটি ২৭ তারিখের রাতে। কিন্তু মানুষ যাতে এর উপর নির্ভর করে না বসে এই জন্য শেষ দশকে বলেছেন। অতঃপর তিনি শপথ করে বলেছেন, সেটি হলো, ২৭ তারিখের রাত। (তাফ্সীরুল কুরতুবী, খ. ২০, পৃ. ১৩৪; আল-মু‘জামুল আওসাত, খ. ৪, পৃ. ৩৩৩, হা নং ৪৩৫৩; আল-মু‘জামুল কাবীর, খ. ৯, পৃ. ৩১৬, হা নং ৯৫৮৪।)
২. হযরত ইবন উমর (র.) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (স.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি কাদরের রাত তালাশ করতে চায়, সে যেন, ২৭ তারিখের রাত্রিতে তালাশ করে। (আল-মু‘জামুল কাবীর, খ. ১৩, পৃ. ৪০, হা নং ১৩৬৬০)। (চলবে)
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক: ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ