পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) এ কথা জানিয়েছেন আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেয়ার পুরনো শর্তে তার সাজা ৬ মাসের জন্য স্থগিত করার পক্ষে মতামত দেয়া হয়েছে। যদিও খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আবেদনে স্থায়ীভাবে তার মুক্তি চাওয়া হয়েছিলো। আইনমন্ত্রণালয় তার স্থায়ী মুক্তির আবেদনটি বিবেচনা করেনি। এছাড়া বিএনপি নেত্রী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করানোর বিষয়েও তার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো। আইনমন্ত্রী বলেন, বিদেশ নিয়ে চিকিৎসার ব্যাপারে পরিষ্কারভাবে তারা এই আবেদনে চান নি। এছাড়া তারা স্থায়ী মুক্তির আবেদন করেছিলেন। সেখানে আমরা আইনগত দিক থেকে সাজা ৬ মাস স্থগিত করে এই সময় পর্যন্ত তার মুক্ত থাকার মেয়াদ বাড়ানোর মতামত দিয়েছি। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি পাঠানো হবে। এর আগে চলতিবছর ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়ার পর খালেদা জিয়া ঢাকার গুলশানের বাসায় ওঠেন। বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ শে মার্চ শর্ত সাপেক্ষে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে ৬ মাসের জন্য সরকার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়েছিলো।দু’টি পৃথক দুর্নীতির মামলায় ২ বছরের বেশি কারাভোগের পর মুক্তি পান খালেদা জিয়া। আগামি ২৪ সেপ্টেম্বর ৬ সেই মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে গত ২৫ আগস্ট শামীম ইস্কান্দার পরিবারের পক্ষ থেকে স্থায়ী মুক্তি চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে আইনমন্ত্রণালয়ে যায় আইনগত মতামতের জন্য। গতকাল আইনমন্ত্রণালয় তার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বৃদ্ধির পক্ষে মতামত দিয়েছে-মর্মে জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটি প্যারোল বা জামিন মুক্তি নয়। ফৌজদারি কার্যবিধিতে সরকারের যে এখতিয়ার রয়েছে সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করে সরকার সাজা স্থগিত করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়েছে।
প্রসঙ্গত: ২০০৮ সালে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদন্ড দেয় বিশেষ আদালত। সরকারপক্ষের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট সাজা বাড়িয়ে ১০বছর করেন। এ মামলায় তিনি কারাগারে ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।