পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ইনকিলাব ডেস্ক : এখন থেকে পাটকলগুলোতে ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন করা হবে। যাতে বছর শেষে মিলগুলোর কী পরিমাণ সম্পদ আছে, কতটুকু সম্পদ নষ্ট হচ্ছে বা কী পরিমান পাট মজুদ আছে তা জানা যাবে। আগে মিলগুলোর সম্পদের পরিমাণ পরিপূর্ণভাবে জানা সম্ভব হতো না। এ জন্য পাটকলগুলোতে ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন চালু করা হয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি প্রত্যেক পাটকলগুলোকে অর্থবছর শেষে তার লাভ-লোকসানের হিসাব বিজেএমসিতে জমা দিতে হবে। এ কাজটা আগে বিজেএমসি করত। এতে সুনির্দিষ্টভাবে কোন মিলের পারফরমেন্স কেমন তা বোঝা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।
রাজধানীর দিলকুশায় বাংলাদেশ জুটমিলস করপোরেশনের (বিজেএমসি) কার্যালয়ে উৎপাদন, পাটক্রয় ও সার্বিক বিষয় নিয়ে গতকাল রোববার পাটকলগুলোর প্রকল্প প্রধান, পাট ব্যবস্থাপক এবং হিসাব ব্যবস্থাপকদের নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিজেএমসির পাট ক্রয় কেন্দ্র ১৮০টি থেকে ৫৬ টিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। বিজেএমসির লোকসান কমাতে সবার সম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগে পাট ক্রয় কেন্দ্র বেশি থাকার কারণে সঠিকভাবে মনিটরিং করা সম্ভব হতো না। এ কারণে তা কমিয়ে আনা হয়েছে। পাশপাশি পাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সকল অনিয়ম হ্রাস করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, বেল আকারে পাট কিনলে গুণগত মান অটুট থাকে। আগে খোলা আকারে পাট কেনা হতো, তাতে গুণগত মান নিয়ে সন্দেহ থাকতো। তাই বেল আকারে পাট কিনতে হবে, যেন গুণগত মানের ব্যত্যয় না ঘটে।
তিনি আরও বলেন, এখন থেকে বেল আকারে পাট কিনতে হবে। আগে খোলাভাবে পাট কেনা হতো। এতে ভালো মানের পাটের মধ্যে খারাপ মানের পাট ঢুকিয়ে দেওয়া হতো। এতে গুণগত মানের পাট সংগ্রহ নিয়ে সন্দেহ থাকতো। তাই বেল আকারে পাট কিনলে গুণগত মানে নিয়ে কোনো সংশয় থাকবে না। একই সঙ্গে পাট ক্রয়ে কোনো অনিয়ম হবে না। -ওয়েবসাইট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।