পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : দেশীয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটনের তৈরি প্রযুক্তি পণ্যে গ্রাহকদের আস্থা ও চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। দেশের ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্যের বাজারে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের অবস্থান আরো সুসংহত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাড়ছে ওয়ালটনের প্রবৃদ্ধি। গত বছরের প্রথম ছয় মাসের (জানুয়ারি-জুন) তুলনায় চলতি বছরের প্রথমার্ধে ওয়ালটন পণ্যের বিক্রি বেড়েছে প্রায় ৪৫ শতাংশ। যা ছাড়িয়ে গেছে চলতি বছরের প্রথমার্ধে বিক্রির লক্ষ্যমাত্রাকেও।
ওয়ালটন সূত্রমতে, ২০১৬ সালের শুরু থেকেই অভ্যন্তরীণ বাজারে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের সব পণ্যের চাহিদা ও বিক্রি বেড়েছে ব্যাপকহারে। বিশেষ করে, আশাতীত বিক্রি বেড়েছে ফ্রিজ, এলইডি টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনার, মোবাইলফোনসহ ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল হোম এ্যাপ্লায়েন্সের (গৃহস্থালী পণ্য)। ওয়ালটন বিপণন বিভাগের ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর মো. রায়হান জানান, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথমার্ধে সকল পণ্যের বিক্রি বেড়েছে আশাতীত। গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাসের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে ৫০ শতাংশেরও বেশি ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে ওয়ালটনের। এছাড়াও, টেলিভিশন (কালার লাইন ও এলইডি টিভি) বিক্রি বেড়েছে প্রায় ৫৮ শতাংশ। তবে, চলতি বছরে এলইডি টিভি বিক্রিতে প্রায় ২৪১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ওয়ালটনের, অভ্যন্তরীণ টেলিভিশন বাজারে যা একটি মাইলফলক।
সূত্রমতে, ফ্রিজ ও টেলিভিশনের মতো হোম অ্যাপ্লায়েন্সের বাজারেও ওয়ালটনের শক্তিশালী অবস্থান তৈরি হচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৭৮ শতাংশ বেশি হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেস বিক্রি হয়েছে। ব্যাপক গ্রাহক চাহিদার প্রেক্ষিতে ওয়ালটন নিজস্ব কারখানায় বেøন্ডার, ইন্ডাকশন কুকার, গ্যাস স্টোভ, রিচার্জেবল ফ্যান, সিলিং ফ্যান, এলইডি লাইট, প্যানেল লাইট, সুইচ-সকেট, এসিড লেড রিচার্জেবল ব্যাটারিসহ বেশ কিছু গৃহস্থালী পণ্য উৎপাদন করছে। এগুলো মানের দিক থেকে আমদানিকৃত পণ্যের তুলনায় অনেক উন্নত এবং দামেও সাশ্রয়ী।
জানা গেছে, গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানায় বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও মেশিনারিজ এর সমন্বয়ে উৎপাদন করা হচ্ছে বিশ্বমান সম্পন্ন অর্ধশতাধিক প্রযুক্তি পণ্য। চলতি বছরের শুরু থেকেই গ্রাহকদের চাহিদা, রুচি ও ক্রয় সক্ষমতা অনুযায়ী প্রতিটি পণ্যের অসংখ্য মডেল বাজারে ছেড়েছে দেশীয় ব্র্যান্ডটি। প্রোডাক্ট লাইনে যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন মডেলের পণ্য। বিশেষ করে, ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরে যুক্ত হয়েছে ’ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার’ প্রযুক্তির কম্প্রেসার।
ফলে ওয়ালটনের নো-ফ্রস্ট ফ্রিজ অভ্যন্তরীণ বাজারে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। গ্রাহকের হাতের নাগালে প্রযুক্তি পণ্য পৌঁছে দিতে বাড়ানো হয়েছে সেলস পয়েন্ট। বেড়েছে লোকবল। দ্রæত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পৌঁছে দিতে সার্ভিস পয়েন্টের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। সার্ভিস সেন্টারে লোকবল বেড়েছে ৫০ শতাংশের বেশি। সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কারখানায় বাড়ানো হয়েছে উৎপাদন। বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে গড়ে তোলা হয়েছে পর্যাপ্ত মজুদ।
সেই সঙ্গে প্রযুক্তি পণ্যের সুফল ধনী-গরিব সবার কাছে পৌঁছে দিতে সর্বোচ্চ তিন বছরের কিস্তি সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। কারখানায় উৎপাদন বাড়ায় কমেছে পণ্যের উৎপাদন খরচ। বাজারে আরো সাশ্রয়ী মূল্যে মিলছে ওয়ালটন পণ্য। পাশাপাশি সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সংযোজনের ফলে আগের চেয়ে পণ্যের গুণগত মান আরো বেড়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি-এসব কারণে গ্রাহক পছন্দের শীর্ষে উঠে এসেছে ওয়ালটন। ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ও বিপণন বিভাগের প্রধান এমদাদুল হক সরকার বলেন, যেকোন ম্যাচিউরড (পরিপক্ক) প্রতিষ্ঠানের জন্য স্ট্যান্ডার্ড বা সন্তোষজনক প্রবৃদ্ধির হার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। ওয়ালটন প্রায় ৪৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। যা দেশের ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্যের বাজারে ঈর্ষণীয়।
ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ও বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রেজওয়ানা বলেন, ওয়ালটনের বৈশিষ্ট হচ্ছে- আমাদের প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিক। আশা করি সামনের দিনগুলোতে প্রবৃদ্ধির হার আরো বাড়বে।
পাট ক্রয়ে যেন মানের ব্যত্যয় না ঘটেÑমির্জা আজম
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেছেন, বেল আকারে পাট কিনলে গুণগত মান অটুট থাকে। আগে খোলা আকারে পাট কেনা হতো, তাতে গুণগত মান নিয়ে সন্দেহ থাকতো। তাই বেল আকারে পাট কিনতে হবে, যেন গুণগত মানের ব্যত্যয় না ঘটে। রাজধানীর দিলকুশায় বাংলাদেশ জুটমিলস করপোরেশনের (বিজেএমসি) কার্যালয়ে গতকাল পাটকলগুলোর প্রকল্প প্রধান, পাট ব্যবস্থাপক এবং হিসাব ব্যবস্থাপকদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। মতবিনিময় সভার বিষয়বস্তু ছিলো- উৎপাদন, পাটক্রয় ও সার্বিক বিষয়।
মির্জা আজম বলেন, এখন থেকে বেল আকারে পাট কিনতে হবে। আগে খোলাভাবে পাট কেনা হতো। এতে ভালো মানের পাটের মধ্যে খারাপ মানের পাট ঢুকিয়ে দেওয়া হতো। এতে গুণগত মানের পাট সংগ্রহ নিয়ে সন্দেহ থাকতো। তাই বেল আকারে পাট কিনলে গুণগত মানে নিয়ে কোনো সংশয় থাকবে না। একই সঙ্গে পাট ক্রয়ে কোনো অনিয়ম হবে না।
পাট প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে পাটকলগুলোতে ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন করা হবে। যাতে বছর শেষে মিলগুলোর কী পরিমাণ সম্পদ আছে, কতটুকু সম্পদ নষ্ট হচ্ছে বা কী পরিমাণ পাট মজুদ আছে তা জানা যাবে। আগে মিলগুলোর সম্পদের পরিমাণ পরিপূর্ণভাবে জানা সম্ভব হতো না। এ জন্য পাটকলগুলোতে ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন চালু করা হয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, এখন থেকে প্রত্যেক পাটকলগুলোকে অর্থবছর শেষে তার লাভ-লোকসানের হিসাব বিজেএমসিতে জমা দিতে হবে। এ কাজটা আগে বিজেএমসি করত। এতে সুনির্দিষ্টভাবে বোঝা যাবে কোন মিলের পারফরমেন্স কেমন। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বিজেএমসির পাট ক্রয় কেন্দ্র ১৮০টি থেকে ৫৬টিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। বিজেএমসির লোকসান কমাতে সবার সম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগে পাট ক্রয় কেন্দ্র বেশি থাকার কারণে সঠিকভাবে মনিটরিং করা সম্ভব হতো না। এ কারণে তা কমিয়ে আনা হয়েছে। পাশপাশি পাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সকল অনিয়ম হ্রাস করা সম্ভব হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।