পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাদরাসায় চলমান সহকারী গ্রন্থাগারিক নিয়োগ বন্ধে তিন মাসের স্থগিতাদেশ জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ২০১৮ সালের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (মাদরাসা) শিক্ষাগত যোগ্যতায় সমমান না রাখা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-এই মর্মে রুল জারি করা হয়েছে। এক রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার বিচারপতি মো. ওবায়দুল হাসান এবং বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
জানা যায়, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ -এর ৩৫ নম্বর কলামে উল্লিখিত ‘সহকারী গ্রন্থাগারিক’ পদের নিয়োগে শিক্ষাগত যোগ্যতায় শুধু ফাজিল বা আরবি বিষয়ে অনার্স ডিগ্রি এবং গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা যোগ্যতা চাওয়া হয়। ফলে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাধারণ বিষয়ে স্নাতক বা অনার্স পাস করা গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা নিয়োগ বঞ্চিত হন। এ কারণে সাধারণ শিক্ষিত ডিপ্লোমাধারীদের পক্ষ থেকে উক্ত নীতিমালার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে বরগুনার মো. আউয়াল, পটুয়াখালীর জি.এম. আমিনুল ইসলাম, জয়পুরহাটের আবু বক্কর সিদ্দিক, বরিশালের মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ ৪০ জন ডিপ্লোমাধারী হাইকোর্টে রিট করেন।
রিটে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতর ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সংশ্লিষ্ট চার জনকে বিবাদী করা হয়। রিটে বাদী পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। আদেশের বিষয়ে তিনি বলেন, রিটের শুনানি শেষে নিয়োগে শিক্ষাগত যোগ্যতায় সমমান না রাখা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না মর্মে চার সপ্তাহের রুল জারি করেন আদালত। চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়া তিন মাসের স্থগিত রাখার আদেশও দেন আদালত।
রিটে আরও বলা হয়, সহকারী গ্রন্থাগারিক পদটি একটি সার্বজনীন পদ। তাই এর নিয়োগে সমমান ছাড়া অন্য কোনও যোগ্যতা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। নীতিমালাতে শুধু মাদরাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিগ্রিধারীদের সুযোগ একটা বৈষম্যমূলক এবং পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত। এতে দেশের হাজার হাজার সাধারণ শিক্ষিতদের বঞ্চিত করা হয়েছে। ব্যারিস্টার সৈয়দ জাহাঙ্গীর বলেন, আদালত আমাদের মামলার পক্ষে রুল দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিন মাসের স্থগিত আদেশ দিয়েছেন। এতে আমরা আশান্বিত। আদালতের মাধ্যমে দ্রæত ন্যায্য দাবি ‘সমমান যোগ্যতা’ ফিরে পাব বলে আশা করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।